ইরা আকস্মিক “মাহিদ” বলে মাথা ঘুরে পড়ে যেতে যাবে, তখনই মাহিদ দ্রুত ইরাকে ধরে ব্যাকুল কণ্ঠে বলল, “ইরাবতী, কি হয়েছে আপনার? কথা বলুন না।” ইরা কোনো সাড়া দিল না। মাহিদ আর কিছু না ভেবে ইরাকে পাঁজাকোলে তুলে নিয়ে রুম থেকে বেরোতে যাবে, ঠিক তখনই ইরার কণ্ঠ ভেসে এলো, “আমি ঠিক আছি, মাহিদ।” মাহিদ থমকে দাঁড়াল। অবাক চোখে তাকাল ইরার দিকে। ইরা মিঠিমিঠি হাসছে। মাহিদ হতবিহ্বল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, “আপনি ঠিক আছেন?” ইরা মুচকি হেসে মাহিদের কাঁধ জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা ঠেকিয়ে বলল, “আমি ঠিক আছি, মিস্টার হাসবেন্ড।” মাহিদ অভিমানী গলায় বলল, “আমি কতটা ভয় পেয়েছি, আপনি জানেন সেটা?” ইরা হেসে বলল, “জানি তো। জ্ঞান হারাইনি বলেই তো দেখতে পেলাম আপনি কতটা ভয় পেয়েছেন। সত্যি সত্যি জ্ঞান হারালে তো আর দেখতে পেতাম না।” মাহিদ গলা ভার করে বলল, “প্রমিজ করুন, এমনটা আর কখন করবেন না।” ইরা মুচকি হেসে বলল, “ওকে, আর করব না।” মাহিদ কণ্ঠ নরম করে আবার জিজ্ঞেস করল, “আপনি সত্যি ঠিক আছেন তো, ইরাবতী? শরীর খারাপ লাগছে না তো?” ইরা আশ্বাস দিয়ে বলল, “আমি একদম ঠিক আছি, মিস্টার হাসবেন্ড। আমার শরীর খারাপ লাগছে না।” “ঠিক আছে, তাহলে চলুন।” বলেই হাঁটতে শুরু করল মাহিদ। ইরা হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল, “দাঁড়ান।” মাহিদ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, “আবার কি হলো?” ইরা লাজুক হেসে বলল, “এভাবে নিয়ে যাবেন আমায়?” মাহিদ ইরার ইঙ্গিত বুঝল। সে ধীরে ধীরে ইরার পা জোড়া জমিনে রেখে ইরার হাতটা নিজের হাতের ভাঁজে নিয়ে বলল, “এবার চলুন।” ইরা মিষ্টি হেসে মাথা নেড়ে সায় দিল। দুজনে একসাথে চলল এক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য।