ড্রিম লাইটের মৃদু আলোতে বসে আছে শিশির। শার্ট খুলে সোফার উপর রেখে দিয়েছে আগেই। তার ভেতর এখন সে নেই, আছে জেদ আর রাগ। বিন্দু ধীর পায়ে এসে শিশিরের সামনে দাঁড়াল। শিশির বিন্দুর দিকে তাকাতেই থমকে গেল। লাল রঙের ফিনফিনে নাইটিতে অপ্সরার মতো লাগছে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রমণীটিকে। ফর্সা শরীরে লাল রঙটা যেন আফিমের মতো কাজ করছে শিশিরের মস্তিষ্কে। মেয়েটার চেহারা মায়াবী, কিন্তু চোখের নিচে কালসিটে দাগ। শিশির উঠে এসে এক ঝটকায় বিন্দুকে নিজের বাহুতে আগলে নিল। ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বিন্দুর দিকে। বিন্দুর তিরতির করে কাঁপতে থাকা ঠোঁট দুটো যেন চুম্বকের মতো টানছে শিশিরকে। কাল বিলম্ব না করে, বিন্দুর গোলাপের পাপড়ির মতো রক্তিম উষ্ণ ঠোঁট দুটো দখল করে নিল নিজের রুক্ষ ঠোঁট দিয়ে। টুপটাপ করে অশ্রু ঝরছে বিন্দুর চোখ থেকে। শিশির যেন ভুলেই গেছে তার দিনদুনিয়া।
আমার সবথেকে প্রিয় লেখিকা সে আমার সবথেকে আপনজদের মাঝে একজন ইভা 🥹 তাকে আমি এত্তো ভালোবাসি এত্তো ভালোবাসি বলার বাহিরে। তার লেখার হাত ও কল্পনাশক্তি মাশাআল্লাহ অনেক ভালো। প্রতিটি গল্পই সে নিখুঁত ভাবে লিখে পাঠকদের মাঝে তুলে ধরে। আমি তার গল্পের অনেক বড় ফ্যন হয়ে উঠেছি। আপনারা লেখিকার উপর বিশ্বাস রেখে অবশ্যই ❝জারুল ফুলের সংসার❞ গল্পটা একবার পড়ে দেখবেন। ইনশাআল্লাহ হতাশ হবেন না।
Read all reviews on the Boitoi app
অসাধারণ একটা গল্প। তবে ছোট্ট ছোট্ট মনে হচ্ছে, অপূর্ন অপূর্ন ফিল আসছিল। মনে হচ্ছে শেষ হইয়েও হইলো না শেষ। তবে পাঠক পড়ে আশাক্ষুণ হবে না, আমি মনে করি।
ই-বূকটাতে সবচেয়ে ভালো লেগেছে বিন্দুকে। একজন নারী নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছে কেবলমাত্র নিজের মাকে সুস্থ করার চেষ্টায়, নিজের ছোট ভাইবোনদের মুখে খাবার তুলে দিতে। বিন্দুর খাবার লুকিয়ে নিয়ে ভাই-বোনদের খাওয়ানোর কথা পড়ে খুব খারাপ লাগছিল। শিশির চরিত্রটার প্রতি শুরুর দিকে প্রচুর রাগ হচ্ছিল, তবে পরবর্তীতে ও যখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিন্দুকে আগলে নিল তখন অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের দেশে এমন বহু অনাথ শিশুরা খিদের জ্বালা মেটাতে রাস্তার খাবার পর্যন্ত কুড়িয়ে খায়, বহু নারী পরিবারের জন্য রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, তবে সবার জীবনে এমন শিশির নামক পরিবর্তন আসে না। যাইহোক এভাবেই লেখালেখিতে এগিয়ে যাও...শুভ কামনা রইল..