"এটা আমার ঘর হওয়ার কথা ছিল।" ঝিলমিল তখনই পুরোদমে নিশ্চিত হলো, এটা আদিবা। অন্তরাত্মা অজানা ভয়ে কেঁপে উঠল। যেমন চেহারা, তেমনই ফিটনেস ও উচ্চতা। আবার পোশাক-আশাকেও আভিজাত্যের ছাপ। এই মেয়েটার সামনে নিজেকে তার খুবই তুচ্ছ ও মূল্যহীন মনে হলো। তাই ঝটপট কোনো জবাবও ঠোঁটে এলো না। আদিবা হাসিখুশি মুখে বলে উঠল, "এই শহরের প্রতিটা অলিতে-গলিতে আমাদের একসাথে পা ফেলার ছাপ আছে। এমনকি এই ঘর, এই বাড়ি, এখানকার প্রত্যেকটা আসবাবপত্রও জানে, শীঘ্রই আমি এখানে বউ হয়ে আসব। আমাদের মধ্যে প্রেম ছিল না, ভালোবাসা ছিল না, কিন্তু প্রচুর ভরসা ছিল জানো। আমার মনে হত, গোটা একটা জীবন আমি অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারব, যদি তাশফিন পাশে থাকে। আমার সামনের পথটা যে এখন অনেক কঠিন হয়ে গেল, মেয়ে। এমন বিশ্বস্ত মানুষ আমি কোথায় পাব আর?" কিছুক্ষণ থেমে আদিবা ফের অনুরোধের সুরে বলল, "আমাকে আমার মানুষটা দিয়ে দাও না, প্লিজ। কেমন দমবন্ধ লাগছে আমার! ও আর আমার হবে না, এটা আমি মেনে নিতে পারছি না কেন? তুমি প্লিজ, একটু সহায় হও আমার প্রতি। একটু দয়া করো।" ঝিলমিলের এখন প্রচণ্ড অসহায় মনে হলো নিজেকে। চোখ ফেটে কান্না বেরিয়ে এলো। কী করে এই মেয়েটাকে সান্ত্বনা দিবে সে? কী করে বুঝাবে, এখানে তার হাত ছিল না। যা হয়েছে, সেটা দু'জনের তাক্বদীরে ছিল! একটা সম্পর্কে বাঁধা পড়ে, সেটাকে এখন তুচ্ছ করে দেওয়া তো অন্যায়। বিশেষ করে, তাশফিনের কণ্ঠে ভরসা, বিশ্বাস, যত্নশীলতা ও সম্পর্কের প্রতি সম্মান থেকে যে ভালোবাসা ঝরে পড়েছিল, সেটুকুর পর নাজুক সম্পর্কটাকে এখন হেলাফেলা করা সম্ভব নয় আর। এ যে বিয়ে; পবিত্র বন্ধন! এর অমর্যাদা করার মতো এতটাও অবুঝ তো ঝিলমিল নয়। কিছু বলতে না পেরে ঝিলমিল রুমে প্রবেশ করে দরজা আটকে দিল। আদিবা মুচকি হেসে মনে মনে আওড়াল, "আমার স্বপ্ন ভেঙে, তুমি একটা বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে ঘর সাজাবে, ফিন? এত সহজে আমি তো তোমায় ঘর বাঁধতে দেব না। বিষ তো সবে ওর মনে ঢুকিয়ে দিলাম। এরপর পুরো শরীরে দিব। দেখব, কতদিন বাচ্চা মেয়েটা এই সংসারে টিকে থাকে, তোমার বউ হয়ে!"
বাস্তববাদী ও দায়িত্বশীল নায়ক আমার পছন্দ অনেক। এজন্য তাশফিন কেও ভালো লেগেছে। শুধু দায়িত্ব নিয়ে সম্পর্কে জুড়ে গেলেই হয় না। সেটার সম্মান রক্ষাও করতে জানতে হয়৷ তাশফিন যেটা করেছে। ই-বুকটা সুন্দর ছিল। লেখিকার জন্য শুভকামনা রইল। তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় খণ্ড নিয়ে আসুন,অপেক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে🌼
Read all reviews on the Boitoi app