আলমির কয়েক কদম এগিয়ে গেল। ইরজার একদম কাছে এসে দাঁড়াল। বাতাসের ঝলকে ক্ষুদ্রকায় দৃষ্টি। আলুথালু চিকুরের ভাঁজে জেগে আছে। সেই অক্ষিকোটরে চোখ রেখে পুরুষটি বলল--- "এই তিন মাস শেষ হওয়ার আগে আপনি আমার হবেন। আপনি বাধ্য হবেন। কথা দিলাম।" "এমন কিছুই হবে না, মি. আলমির। আমি মরে গেলেও না।" "আই লাভ ইউ!" অবিশ্বাস্য এক বাক্য শুনল ইরজা। সে তার কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই দমকা হাওয়াও যেন একদম নিঃশেষ হয়ে গেছে আলমিরের মুখ নিঃসৃত অকল্পনীয় বাক্যে। থমকে গেছে ধরা। আটকে গেছে এই প্রহর, এই ক্ষণ। উন্মুখ, উৎসুক এই মন। বিধ্বংসী পুরুষটি তার উন্নত ললাটে আটকে থাকা দৃকদ্বয়ে কী ভয়ংকর প্রলয়ঙ্কর প্রাখর্যতা নিয়ে চেয়ে আছে। অত্যধিক শীতল, কঠোর, দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করল--- "এই কথা দ্বিতীয়বার আর কখনো বলব না আমি।" ইরজা একটু সময় নেয়। আলমিরের চোখেই আবদ্ধ রইল তার দৃষ্টি। শুধু হালকা হাসির পরশ ঠোঁটে লেপে সহজ গলায় বলল--- "আমিও দ্বিতীয়বার শুনতে চাই না।" ইরজা ঘুরে যায়। দ্রুত কদম ফেলে হাঁটতে থাকে। গিয়ে গাড়িতে বসল। আলমির দাঁড়িয়ে রইল। বাঁকা হেসে বলল--- "হায়! চাচ্চু সত্যিই বলেছে। মেয়ে মানুষ ধারালো হাতিয়ার!"
প্রিয়ঙ্গনা শেষ করেছি অনেকদিন আগে। রিভিউ লিখব, লিখব করেও লেখা হয়না! ফেসবুকেরটা পড়া হয়নি, ইবুকটা পছন্দ হয়েছে। অধিক চরিত্রের আনাগোনা, তাদের মধ্যেকার কেমিস্ট্রি! আলমির চরিত্রটাও জোস!রিনাজ মেয়েটাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করবে সেটা ভাবার বিষয়। পোষাকে ওভার স্মার্ট হলেও, আলমিরের প্রতি অনুভূতিতে খাদ দেখতে পাই নি! ইমারার চরিত্রটা পড়তে গিয়ে ভুলেই যাই, মেয়েটার বয়স এত কম! কাহিনীতে অনেক রহস্য লক্ষ্যনীয় ছিলো। বিশেষ করে, চরিত্রগুলোর মধ্যে রহস্য। আমার মনে হয়েছে, সিজন ১ টা কেবল বিভিন্ন চরিত্রদের উপস্থিতি আর তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক থাকার ব্যাপারটা বর্ননা করা হয়েছে! কিন্ত বাকি সব টুইস্ট সম্ভবত পার্ট ২তে খোলাসা হবে। সেটার অপেক্ষায় আছি। লেখিকার লেখা, ঠিক আগের মতো করে অনুভব করলাম। সেই আগের আমেজ পেয়েছি। শুভকামনা রইলো। এইবার আমার মাহাদকে নিয়ে লিখুন!আপ্নার রোমান্টিক পড়ি না বহুদিন! 🫰
Read all reviews on the Boitoi app
এখন ভোর ৫টা, প্রিয়অঙ্গনা খুব সুন্দর মধুময় একটি নাম।প্রতিটি নারী চায় তার প্রিয় পুরুষটির প্রিয় অঙ্গনা হতে। ইরজা হয়তো খুব সহজেই সেই মানুষটি হয়ে গেল আলমিরের জীবনে। সাভাবিক ভাবে দেখলে এমনটাই মনে হচ্ছে। আলমির রহস্যময় এক মানব।শপিং মলে ছোট একটা বিষয় তার মনে দাগ কাটে,যখন ইরজা তার বাগদত্তাকে বলে শর্টের জন্য চেচাচ্ছেন না শার্টের ভিতরের মানুষটির জন্য। আলমির একজন সফল ব্যবসায়ি,তার বাবা হয়তো রামিসার(হয়তো নামটি সঠিক নয়,নাম সঠিক মনে থাকে না আমার) সাথে বিয়ে দিতে চেয়ে ছিল ব্যবসায়িক সার্থে।আর আলমিরের দাদা তার অনুমতি না নিয়ে রামিসার সাথে বিয়ে ঠিক করে ফেলে। আলমির হোক বা অন্য যে কেউ সব সময় চায় তার গুরুত্ব যে মানুষ ও তার কাজে প্রকাশ পায়।আলমির ৫ বছরে বিজনেসকে যতটা আগাচ্ছে তা প্রসংসনীয়।কিন্তু তার অনুমতি ছারা তার পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে,বিষয়টা সাধারণ সবারই খারাপ লাগার বিষয়।তেমন হয়তো আলমিরের ও লেগেছে। আলমির আর রামিসা টুকটাক তাদের কথা হয়,যেহেতু তারা এংগেজ্ড।হয়তো আলমির কখনো রামিসার থেকে তেমন সারা পায় নি, যেমন রেসপন্স করা উচিত তার পাটনার থেকে।কেয়ারিং শেয়ারিং বা আগলিয়ে রাখার যে বিসয় থাকে তা বলে বুঝানের বিসয় না।যে কোন সম্পর্কে যেমন কনসার্ন থাকে তা কথা ও আচরনে প্রকাশ পায়,তা হয়তো আলমির পায়নি রামিসার থেকে। সাধারণ ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশি কেয়ারিং হয়,রামিসা ইরজাকে আগে বলল শার্টের কথা।আর ইরজা ভুল বুঝতে পেরেই গ্লাস ভরা পানি গায়ে ঢেলে দিল।আলমির হয়তো এই ছোট কেয়ারটাতেই আটকেছিল।এর পর এতিম বাচ্চাদের জন্য ইরজার আকুতি হয়তো তাকে মুগ্ধ করেছিল। এক রাতেই কেন সবটা পাল্টে গেল তা সঠিক বুঝার মতো ছিল না।কিন্তু আপাদত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আলমির ইরজার নরম মনের আবদারে গলেছে।বা তার প্রতি একটু কনসর্ন দেখানোতে সে আনন্দিত হয়েছে। বা সত্যি তে ইরজার প্রেমে মজেছে। তূর্য আর নিহার ও ময়ূখ এদের নিয়ে মেইন ঘাপলা হয়তে এখনো সামনে আসেনি।তূর্য সে মৃত,তাকে কেউ হত্যা করেছে,হয়তো সে না মটলেও খুব দ্রুত বিশ্বাসঘাতকতা তাকে মেরে ফেলত।ময়ূখ বলল তূর্যকে তার সামনে হত্যা জরা হয়েছে।অথচ সে জাউকে কিছু বলেনি।সবাই জানে একসিডেন্টে সে মারা গেছে।আবার নিহার তার একটা বাচ্চা আছে,স্বামী মারা যেতেই সে আবার বিয়ে করে নিল,তাও আবার তূর্যয়ের বন্ধুকে? খটকা মেইন ২টা এখানেই। আলমির তার ভাইয়ের ছেলেকে নিজের মনে কটে পালছে। যা এখনো ইরজা জানে না।হয়তো এই বিষয়টা সামনে ভালো করে আসবে। ইরজা এতিম,তার কোন পরিবার নেই,সে আশ্রমে বড় হয়েছে,আবার ইমারাও সেম। তার বাবা মা নেই কিন্তু দাদা দাদি আছে।তাই তাদের মাঝের সম্পর্ক একে অপরকে টানের বন্ধনে আটকেছে। এমনও হতে পারে ইরহার প্রতি আলমিরের আকর্ষনের অন্য কোন জারণ আছে। তূর্যের মৃত্যু তো একটা রহস্য আছেই,সাথে আরেকটা রহস্য তূর্যের কাছে যে মেডিসিন ও তত্ব আছে তা আসলে কোথায় আছে? তূর্য কি এই বিষয়টা কাউকে শেয়ার করেনি? করলে কে সে? আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তূর্যয়ের আইডি থেকে কে যোগাযোগ করল? সে কেন সেই মেডিসিন এখনো সামনে আনছে না? বা তূর্যয়ের মার্ডারটাও সামনে আনছে না? শাহেদ যতটা সরলা দেখায়,আসলেও কি সে এমন? কে কম্পানির ভিতর থেকে তথ্য পাচার করছে? আর ইরজসকে ঐদিন কে এক্সিডেন্ট করাতে চেয়ে ছিল? এখন আবার তাকে কিডনাপ করল কসর ইশারায়? ইরজা কি নতুন জীবন পাবে? আলমির ও ইরহার সুন্দর প্রমোময় জীবন শুরু হবে কখন? এতো এতো প্রশ্ন রেখে দিয়েছেন? খুব দ্রুত ২য় খন্ড আনবেন।অপেক্ষায় আছি। ইরজার একাকি বড় হওয়া, তার জীবন যুদ্ধ দেখাও বাকি আছে। রামিসার আলমিরের প্রতি কি সত্যি ভালোবাসা আছে?না সেও সার্থের জন্য এই বিয়ে করতে চায়? অপেক্ষায় আছি সকল প্রশ্নের উওরের অপেক্ষায়। অনেক সুন্দর হয়েছে ইরজামিরের প্রিয়অঙ্গনা।
খুব সুন্দর হয়েছে❤️।ভালোই রহস্য আছে।ইরজার নির্স্বার্থতা জাস্ট মুগ্ধকর😍।আলমিরটাও।যাই হোক ইরজা আলমির ছাড়াও নিবেদিতা-ফাইরুজ,ইমারা রাশিম এই চার চরিত্রও দারুন লাগছে।তবে ইরজা-আলমির প্রধান ওদেরটা সক্রিয়টা কম লেগেছে একটু।যেমনটা চেয়েছি তেমনি পেয়েছি প্রথম খন্ডটাতে।দ্বিতীয় খন্ডটাতে আলমির ইরজার সক্রিয়টা বেশি থাকে লেখিকা।বেশি কিছু লিখলেই স্পয়লার হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অনেক ভালো হয়েছে, ২য় পর্বের অপেক্ষায়!