রাত গভীর, ঘরের অন্ধকারে সবকিছু স্তব্ধ। সারা বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ ধুচ্ছিল। বড় আয়নার কাঁচে তার চোখের আড়ালে কিছু যেন চমকাচ্ছে। প্রথমে সে ভাবল নিজের প্রতিফলন, কিন্তু হঠাৎ আয়নার আড়ালে একটি অচেনা ছায়া ঝাপসা হয়ে উঠল। ছায়া ধীরে ধীরে আকৃতি নিল—পুতুলটি। কাঁচের চোখ লালাভ আলোতে জ্বলছে, ঠোঁট যেন হাসছে, কিন্তু হাসিটা সাধারণ নয়—ভীতিকর, অদ্ভুত। পুতুলটির হাত ধীরে ধীরে কাঁপছে, এবং হঠাৎ হাতে ছুরি দেখা গেল। সারা চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা আটকে গেল। বাতাস হঠাৎ থমকে গেল, এবং ঘরের চারপাশে অদ্ভুত ঠান্ডা ছড়িয়ে গেল। পুতুলটি ধীরে ধীরে এগোচ্ছে, আর সাথে সাথে ফিসফিস শব্দ—“সারা… তুমি পালাতে পারবে না…” ভেসে আসছে। সারা দৌড়ানোর চেষ্টা করল, কিন্তু পা মাটির সাথে লেগে গেল, যেন পা নড়াতেই পারছে না। ঘরের চারপাশে লাইট ঝলসে যাচ্ছে, দেয়ালের ছায়া অদ্ভুতভাবে নাচছে। হঠাৎ পুতুলটি সারার দিকে ছুরি নিয়ে এগোচ্ছে। সারা চিৎকার করতে করতে পিছনে হটল, কিন্তু পায়ের তলা যেন জমে গেছে। ঘুম ভাঙার মতো অনুভূতি, শরীর অচল। তারপর—এক মুহূর্তের জন্য সব থেমে গেল। ঘরে এক নিঃশ্বাসের মতো স্থিরতা নেমে এলো। তারপরই সারা হঠাৎ চিৎকার করে ঘুম থেকে জেগে উঠল।