অভি—দেখতে সুদর্শন, বিত্তবান বাবার একমাত্র ছেলে। কিন্তু অনেকটা পাগলাটে স্বভাবের। বিয়ের পর বেচারার বউ নাইয়রিতে গিয়ে হঠাৎ পালিয়ে যায়। সবাই তখন অভিকে ‘বউ পালানো জামাই’ বলে খেপাতে থাকে। অভি তাতে কষ্ট পায় না মোটেও। উপরন্তু, বউ পালিয়ে যাওয়ার পর সে বউয়ের বাবার বাড়িতে গিয়েই থাকতে শুরু করে। কারণ, তার কথা “আমার বউ পালিয়ে গেছে তো কী হয়েছে? শ্বশুর-শাশুড়ি তো আর পালায়নি। বউ নেই বলে কি আমি জামাই আদর পাবো না? আমার আদর আমি আদায় করেই নেব।” গল্পটা রোমান্টিক বটে। কিন্তু পাঠক রম্য কাহিনি পছন্দ করলে তার স্বাদও এখানে পাবেন। যারা গভীর পটভূমির লেখা ছাড়াও হালকা এবং মন ফুরফুরে করা গল্প পছন্দ করেন, এ গল্পটা তাদের জন্যই।
"পরীক্ষার জন্য কিনে রাখলেও পড়া হচ্ছিল না। আজ শেষ করলাম। আগে একদিন একটু পড়েছিলাম বাকিটা আজ পড়লাম। বরাবরের মতো সুন্দর লেখা। আমার আবার বড় বড় লেখা খুব পছন্দ এজন্য এতোটুকুতে মন ভরে না। তাই এইটুকুতে মন ভরেনি। তবে ছোট হলেও গল্পটা সুন্দর ছিল। আপুকে অনেক অনেক ভালোবাসা, সুন্দর সুন্দর লেখাগুলো উপহার দেওয়ার জন্য।"
পরীক্ষার জন্য কিনে রাখলেও পড়া হচ্ছিল না। আজ শেষ করলাম। আগে একদিন একটু পড়েছিলাম বাকিটা আজ পড়লাম। বরাবরের মতো সুন্দর লেখা। আমার আবার বড় বড় লেখা খুব পছন্দ এজন্য এতোটুকুতে মন ভরে না। তাই এইটুকুতে মন ভরেনি। তবে ছোট হলেও গল্পটা সুন্দর ছিল। আপুকে অনেক অনেক ভালোবাসা, সুন্দর সুন্দর লেখাগুলো উপহার দেওয়ার জন্য।
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, তাতে বিষয়বস্তু আর সমাপ্তি আগেভাগেই আঁচ করা একেবারেই অসম্ভব ছিল। পাঠককে একদম ভিন্ন এক জগতে নিয়ে গেছে গল্পটি। চমৎকার রসবোধে ভরপুর, আবার রোমান্টিক আবহের ছোঁয়া মাখা এই রম্য রচনা মনে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়। রোজেনা, চম্পাকলি, তরুণ, অভি আর মাধু, প্রতিটি চরিত্র যেন আলাদা আলাদা চমক নিয়ে হাজির হয়েছে। কারো উপস্থিতি হাসিয়েছে, কারো কথোপকথন ভাবিয়েছে, আবার কারো আবেগ ছুঁয়ে গেছে মনকে। পড়তে পড়তে কখনো অট্টহাসি, কখনো গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হতে হয়েছে। এই বৈচিত্র্যগুলোই গল্পের বড় শক্তি। তবে নায়ক-নায়িকার সম্পর্কের শুরুটা আর তাদের রসায়ন কিছুটা ধোঁয়াশা লেগেছে। পাঠক হিসেবে আরও স্পষ্ট ও বিস্তারিত জানতে পারলে সম্পর্কের গভীরতা বোঝা সহজ হতো। আবার আরেকটি জুটির ভবিষ্যৎ যেন হঠাৎ করেই থেমে গেল, তাদের গল্প নিয়েও কিছুটা প্রত্যাশা রয়ে গেল মনে। সবকিছু মিলিয়ে এটি একটি প্রাণবন্ত, আনন্দঘন ও স্মরণীয় পাঠ-অভিজ্ঞতা। চরিত্রের অভিনবত্ব আর লেখকের হালকা অথচ মুগ্ধকর আঙ্গিকে লেখা গল্পটি নিঃসন্দেহে পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে।
প্রথমে আসি ই-বুকটা পড়ে ফাউ টাকা নষ্ট হলো কি না সেই প্রসঙ্গে। প্রথমত; যদি ই-বই পড়ার সময় মূল ফোকাস গল্পের দিকে না থেকে অন্য কোথাও থাকে কিংবা শুরু থেকে শেষ অবধি আগামাথা না বুঝে জাস্ট রিডিং পড়ে যাই, তাহলে ফাউ টাকা নষ্টই মনে হবে। আমার ক্ষেত্রে যেহেতু এর কোনোটাই ঘটেনি তাই বেশ উপভোগ করেছি বলা চলে। দ্বিতীয়ত; পেজের তুলনায় দাম বেশি? ই-বুকটা পড়ে যখন তৃপ্তি পেয়েছি তখনই পয়সা উসুল হয়ে গেছে। তবে ভালো না লাগলে দাম নিয়ে অবশ্যই কিছু বলতাম। গল্পটা লিখতে গিয়ে লেখককে যতটুকু শ্রম দিতে হয়েছে, সেই শ্রমের সম্মানি হিসেবে ৭০৳ আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়নি। সাধারণ গোছের একটা স্টোরি। সেই গল্পে উঠে এসেছে সমাজের নাক উঁচু স্বভাবজাত নারীর বৈশিষ্ট্য। যারা পান থেকে চুন খসলেই ফণাধারী সাপের মতো ফুসফুস করতে থাকেন। শুরুর দিকে চম্পাকলিকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করায় খারাপ লাগলেও পরবর্তীতে এই মহিলার অবস্থান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা জন্মায়। লাইক, 'ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়' টাইপের ব্যাপার স্যাপার। আর বেকার ছেলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য রোজানার মায়ের ট্রিক্সটা হাস্যকর সেই সাথে দারুণ ছিল। শেষের দিকে চম্পাকলির সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য বুক চিরে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে। গল্পের আরেক চরিত্র তরুণকে ভালোলাগার একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে, ঝোপ বুঝে কোপ মারায় বেশ পারদর্শী ছেলেটা। কেন্দ্রীয় চরিত্র বরাবরের মতোই অন্যরকম ছিল। ফ্লার্টিং, হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা, ব্যঙ্গ করা সবেতেই পটু এই চরিত্রটি। টুইস্ট হচ্ছে, গল্পের নায়িকাকে ঘিরে। যাকে প্রধান নায়িকা ভেবেছিলাম সে আদৌ নায়িকার ভূমিকায় ছিল না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, লেখক আগে থেকেই হিন্টস দিয়ে রেখেছিলেন কে হবে নায়িকা। আমি এখানে নায়িকার নাম নিচ্ছি না। কারণ নাম নিলেও স্পয়লার এসে যাবে। সবমিলিয়ে ভালো ছিল। তবে আরেকটু ভালো হতে পারতো। এত ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে দুজন মানুষ একসাথে হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে পাঠক হিসেবে যে উন্মাদনা কাজ করছিল, তার রেশ ধরে রাখার জন্য ওদের নিয়ে আরেকটু লিখলে মন্দ হতো না। মনে হচ্ছে, শেষ হয়েও হইলো না শেষ।
কি সুন্দর 🥹❤️
অভিকে আমার দারুন লেগেছে,সময় বিশেষ হাস্যরস আবার গুরুগম্ভীর। বাবা-মা,শশুড়-শাশুড়ি কাছের মানুষ,সবার প্রতি তার খেয়াল থাকে।সে হাসি ঠাট্টাতেও সব দায়িত্ব পালনে কারপন্য করে না।আর সব থেকে যা ভালো লেগেছে,মাধুর প্রতি তার ভালোবাসা, দায়িত্ব আর অনুগত থাকা। একটানা পড়েছি, মনে হলো আরো একটু পড়তে চাই।কেমন ঘোরের মাঝেই শেষ হলো। আর লেখিকাকে বলতে চাই,বিশেষ ধন্যবাদ। অল্প লেখাতেও কিভাবে সবটুকু কাহিনী বুঝিয়ে আমাদের আনন্দ দিলো। একটুও হজবরল লাগেনি,মনেই হয়নি যে তাড়াহুড়োতে শেষ হলো।এই জিনিসটা সবাই পারে না।
অভিকে পড়তে যেয়ে আমার হাসিই তো কন্ট্রোল হয় নাই🤣। ভাই অভি একটা চিজ বটে🤣। অনেকটা পাগলাটে কিন্তু অসম্ভব কেয়ারিং একটা মানুষ। গল্পের প্রতিটা চরিত্রই অনেক মজার। সত্যি বলতে আপুর লেখনী বরাবরের মতোই অসাধারণ ❤️। মাধু অভি এদের আমি ফেসবুকেই পড়েছিলাম। এখন এদের ই-বুকে পড়তে পেরে ভালো লাগছে❤️। ভালবাসা নিও আপু😘
খুব ভালো লেগেছে, একদম মন ভালো করার মতো একটা গল্প। আর অভির কথা কি বলবো ওরে পড়তে আমার এতো ভালো লেগেছে। অনেকে বলে দাম একটু বেশি কিন্তু পড়ার পর আমার মনে হলো এটার সৌন্দর্যের কাছে দাম খুব একটা বেশি কিছু না।
এক বসায় শেষ করলাম গল্পটা। কি যে দারুণ হয়েছে বলে বুঝাতে পারবো না। তোমার লেখায় জাদু আছে আপু, তা না হলে এত সুন্দর করে গল্প লেখো কিভাবে? গল্পটা এত সুন্দর হয়েছে পড়তে পড়তে কখন যে শেষ হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। আমার লোভী মন চাচ্ছে ওদের নিয়ে আরো পড়তে।😊 তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আমাদের জন্য এত সুন্দর একটা গল্প লেখার জন্য। 💕 অফুরন্ত ভালোবাসা আর শুভকামনা তোমার জন্য। ❤️
অনেক সুন্দর একটা লেখা সুন্দর একটা গল্প ।ছোট প্যাকেট বড় ধামাকা এই টাইপের একটা গল্প ।খুবই ভালো লেগেছে এত মার্জিত ভাষায় যে খুব রোমান্টিক একটা গল্প লেখা যায় কল্পনাও করিনি পরে অনেক আত্মতৃপ্তি পেয়েছি। অভির কথা ওর বচনভঙ্গি ওর মজা করা সিরিয়াস সিচুয়েশনে যে এত মজা করে কথা বলা যায় অভিকে না পড়লে বুঝতেই পারতাম না এত মজার একটা মানুষ ছিল অভি আমি হাসতে হাসতে শেষ ওর কাণ্ডকারখানা দেখে। ধন্যবাদ ইসরাত জাহান দ্যূতি আপু এত সুন্দর একটা গল্প আমাদের পাঠকদের কে উপহার দেওয়ার জন্য ভালোবাসা নিবেন আপু
একটানা পড়ে শেষ করলাম। শেষ হওয়ার পর আরো পড়তে ইচ্ছে করতেছে। যতক্ষণ পড়ছি গল্পটা ততক্ষণ মুখে হাসি ছিলো মাঝে মাঝে তো জোরে হেসে দিছি। কি অসভ্য অভি তারপরও এই অসভ্যকে আরো পড়তে ইচ্ছে করতেছে। আফসোস করতেছি কেন শেষ হলো। আহারে চম্পাকলি আর রোজানা কত বড় ছ্যাকা খেলো। শুরুতেই চম্পাকলির অহংকার একদম ভালো লাগেনি। তার সাথে একদম ভালো হয়েছে। তরুণের সাথে রোজানার বিয়ে থাও দেখার ইচ্ছে ছিলো। আমার মন খারাপ হলেই এটা পড়বো আর মুখে আপনা আপনি হাসি চলে আসবে।