কবরস্থানের ভিতরে অন্ধকারে কে যেন বসে আছে। ধবধবে সাদা পোশাক পরা। তাই অন্ধকারেও দেহাবয়বটা বোঝা যাচ্ছে। তবে এটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না, লোকটা কে? বোধহয় কেউ নতুন কবরটার পাশে বসে জিয়ারত করছে। আরো কিছুটা সামনে এগোতেই ভাঙা চাঁদের ঘোলাটে আলোতে বোঝা গেল, যে বসে আছে সে কবরের পাশে নয়, কবরের উপর হাঁটু গেড়ে বসা। চেহারাটাও চেনা গেল। দুদিন আগে যাকে ওই কবরে কবর দেওয়া হয়েছে, সেই লোকটা। কী আশ্চর্য! সে কী করে কবরের উপর বসে আছে?! গায়ে কাফনের কাপড়। বাতাসে আতর-লোবান-কর্পূরের গন্ধ। অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে সে মুখের কাছে হাত তুলে-তুলে কিছু খাচ্ছে। না, অন্য কিছু নয়, সে তার নিজের হাত কামড়ে-কামড়ে ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খাচ্ছে। চিবানোর চপ-চপ আওয়াজ হচ্ছে। কামড়ানো ক্ষত-বিক্ষত হাত থেকে চুইয়ে-চুইয়ে পচা কালচে রক্ত ঝরে পড়ছে গায়ের সাদা কাফনের কাপড়ে।