জেন দর্শন মূলত জীবনের সরলতা, বর্তমান মুহূর্তের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি খুঁজে পাওয়ার শিক্ষা দেয়। এর শিকড় বৌদ্ধধর্মে হলেও জেনচর্চা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত করেছে—যেখানে সাধনা শুধু মন্দিরে নয়, রান্নাঘর, বাগান বা বাজারের মাঝেও ঘটে। জেন গুরুদের মতে, জ্ঞান বা বোধি পাওয়া মানে কোনো রহস্যময় স্থান বা অলৌকিক শক্তির কাছে পৌঁছানো নয়; বরং নিজের মনকে স্বচ্ছ করে দেখা এবং অহংকারের আস্তরণ সরিয়ে ফেলা। জেন গল্পগুলো সাধারণত ছোট, সংলাপভিত্তিক এবং প্রতীকী। প্রথমে এগুলো রহস্যময় বা এমনকি অযৌক্তিক মনে হতে পারে, কিন্তু গভীরভাবে ভাবলে জীবনের সহজ সত্য উন্মোচিত হয়। একটি জেন গল্পের উদ্দেশ্য পাঠককে হঠাৎ উপলব্ধি বা মানসিক জাগরণে পৌঁছে দেওয়া। এই গল্পগুলোতে গুরু-শিষ্যের সংলাপ, দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাকে আধ্যাত্মিক পাঠে রূপ দেওয়ার কৌশল এবং অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি থাকে—যা মনের দরজা খুলে দেয়। "জেন গল্প ১০১" বইয়ে এমন সব নির্বাচিত গল্প সংকলিত হয়েছে, যা— • বর্তমান মুহূর্তে বাঁচতে শেখাবে • চিন্তার অপ্রয়োজনীয় জট খুলে দিবে • জীবনকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে সাহায্য করবে জেন দর্শন মতে, সত্যিকারের শান্তি আসে অতিরিক্ত কিছু পাওয়ার মাধ্যমে নয়; বরং অপ্রয়োজনীয় জিনিস ত্যাগের মাধ্যমে। এই বই সেই যাত্রারই সঙ্গী।