নীহারিকা এক তরুণী, যে একের পর এক জীবনের আঘাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। চাকরি হারানো, ভেঙে যাওয়া বিয়ে, মায়ের সাথে বাবার দূরত্ব, ছোট ভাইয়ের অকালমৃত্যু, বড় ভাইয়ের বেহদিস থেকে দায়িত্বহীনতা এবং পারিবারিক টানাপোড়েন—সবকিছু মিলিয়ে সে হতাশায় ভুগতে থাকে। বাবার জীবনে প্রবেশ করে অন্য কেউ, যা তার ও তার মায়ের জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়। এছাড়া সৎ ভাই সাজ্জাদের লোলুপ আচরণ নীহার জীবনকে করে তোলে আরও দুঃসহ। আবার কর্মক্ষেত্রে বসের নোংরা প্রস্তাব, অন্যদিকে প্রেমিক শফিকের হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া—সব মিলিয়ে নীহার মনের গভীরে জমতে থাকে কালো মেঘ। অগত্যা নীহারিকা আত্মহত্যার মতো কঠিন পাপের পথে পা বাড়াতে চায়। কিন্তু তখনই মায়ের কান্না ও সেজদায় ডুবে থাকা আর্তি তাকে ভাবায়। শুরু হয় আশা জাগানিয়া স্বপ্ন দেখা। এরপর গল্প মোড় নেয়। বহুদিন কোনো যোগাযোগ না থাকা সত্ত্বেও নীহার অজান্তে শফিক আবার ফিরে আসে—অবশেষে জানা যায়, নীহারিকা বিয়ে হতে যাচ্ছে কিন্তু কার সঙ্গে? নীহারিকা নিজেও বিস্মিত, কারণ সকাল থেকে যার হতাশায় ভরা দিন শুরু, জীবনের নতুন সম্ভাবনা কেমন করে দ্বারপ্রান্তে এলো? কাহিনীর এখানে চমক তৈরি হয়। শেষে নীহার মনে দ্বিধা থাকে—সে কি ফেরত আসা প্রেমিক শফিককে ক্ষমা করতে পারবে? ✨ এ গল্পটির উদ্দেশ্য—জীবনের দুঃখ-কষ্ট যতই বড় হোক, আত্মহত্যা কখনো সমাধান নয়; পরিবার ও আশীর্বাদ মানুষকে বাঁচার শক্তি দেয়।