আনাস্তাসিয়া স্টিল ভেবেছিল তার অশান্ত হৃদয়কে শান্ত করতে হলে ক্রিশ্চিয়ান গ্রে থেকে দূরে সরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, তা দ্রুতই স্পষ্ট হয়ে ওঠে—তাকে ছাড়া প্রতিটি মুহূর্ত অসহনীয় অনুভব করে। অন্যদিকে ক্রিশ্চিয়ানও জানে, অতীতের অন্ধকার ছায়া আর দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলতে না পারলে সে কখনোই আনাস্তাসিয়াকে ধরে রাখতে পারবে না। পুনর্মিলনের পর দু’জনের ভালোবাসা হয়ে ওঠে আরও তীব্র। ক্রিশ্চিয়ানের নিয়ন্ত্রণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর আনাস্তাসিয়ার স্বাধীনতার জেদ—এ দুইয়ের দ্বন্দ্ব তাদের সম্পর্ককে প্রতিদিন নতুন পরীক্ষার সামনে দাঁড় করায়। ঠিক তখনই অতীত থেকে উঠে আসে কিছু ভৌতিক চরিত্র, যারা তাদের ভালোবাসার ওপর ছায়া ফেলতে চায়। আবেগ, কামনা, অন্ধকার আর মুক্তির খোঁজে ভরা এই কাহিনি কেবল দু’জন মানুষের প্রেমের গল্প নয়—এ গল্প মানব-মনস্তত্ত্বের গোপন জটিলতা, গভীরতম আকাঙ্ক্ষা আর ভালোবাসার জন্য লড়াইয়ের। ফিফটি শেডস অব ডার্কার পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে এমন এক যাত্রায়, যেখানে প্রেম আর ভয়, কামনা আর অনিশ্চয়তা একসূত্রে বাঁধা।