'আমার একটাই শেষ ইচ্ছে। মরার আগের মুহূর্তে তোমার মুখটা দেখে মরব। তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলে পড়ব। কেন, বলোতো? শ্রাবনী ভয় পেয়ে শুকনো ঢোক গিলল। বলল, -'কেন? রুদ্র শ্রাবন্তীর খুব কাছে এসে বলল, -'প্রিয় মানুষের মৃত্যু চোখের সামনে দেখতে কেমন লাগে, তা আমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না, শ্রাবন্তী। আমি এতগুলো দিন যে শোকে জ্বলে-পুড়ে মরেছি, তুমি কেন বাদ যাবে? একদিকে আমার মুক্তি মিলবে। অন্যদিকে তুমি তোমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থেকেও ছটফটিয়ে মরবে। নিজের হাতে ভালোবাসার মানুষের গলা কাটা কী যে কষ্ট, রে শ্রাবন্তী। ইশ, যদি আমার বুকটা তোমাকে কেটে দেখাতে পারতাম! -'তারমানে সত্যি সত্যিই তুমি আমার দিদিকে মেরেছ? -'আজব। তুমি এখনো মিথ্যা ভাবছ কেন? -'তাহলে তোমার মুক্তি চেয়ে সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ মিছিল করছে কেন? -'ওরা পাগল তাই। তাদের জনদরদী রুদ্রদা নিজের বউ-বাচ্চাকে খুন করতে পারে! ওরা হয়তো এখনো মানতেই পারছে না। -'পুলিশ কিন্তু জোরদার কোনো প্রমাণও পায়নি। -'হয়ত কেউ আমাকে বাঁচাতে সমস্ত প্রমাণ লুটপাট করে দিয়েছে। শ্রাবন্তী কাঁদতে কাঁদতে বলল, -"তুমি শুধু একবার বলো, রুদ্রদা? তুমি খুন করোনি। আমি নিজে বাদী হয়ে আপিল করব। -'ভালোবাসার অনুভূতি এত বিশ্রী কেন হয়, শ্রাবন্তী?