সেদিন দুপুরে কাঠফাটা রোদের মধ্যে আফান মির্জা বাইকে নিয়ে বসে রাস্তায়। সায়রান ভয়ে ভয়ে একপাশে দিয়ে চলে যাবে মনস্থির করেছিল, কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয় না। বাইকে বসে কটমট করে আফান বলে ওঠে, "বড়োদের সালাম দিতে হয়, জানিস না? বেয়াদবের মতো চলে যাচ্ছিস। আমি এখানে কুত্তার মতো রোদে বসে আছি। সেটা তোর চোখে পড়ে না?" "আ-আসসালামু আলাইকুম।" সায়রান ভয়ে ভয়ে তোতলানো কণ্ঠস্বরে সালাম দেয়। আফান গম্ভীর স্বরে সালামের উত্তর করে, "ওয়ালাইকুম আসসালাম। আর সব প্রশ্নের উত্তর দিবি। একদম স্মুথলি। পরীক্ষা কেমন হচ্ছে?" "ভ-ভালো।" সায়রান ভাঙা স্বরে ছোট্ট করে জবাব দেয়। আফান কিছু সময় ওকে দাঁড় করিয়ে রাখে, প্রায় দশ মিনিট। সায়রানের গরমে রোদে অসহ্য। আফান ওর লাল লাল গালের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখে বলে উঠলো, "আজ থেকে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত রোজ দুপুরে আধঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে থাকবি।" সায়রান হকচকিয়ে যায়। বুঝতে পারে না, এটা আবার কেমন আদেশ? তবে মুখ ফুটে কিছুই বলে না। আফান ওর সাথে হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে প্রায় অনেকটা পথ এগিয়ে দেয়। সায়রানের ভয় লাগছিল, এমন নামকরা একজন মানুষ তার পাশে হাঁটছে। কেউ দেখে ফেললে কী ভাববে। তবে আবার কোথাও একটু একটু ভালো লাগায় দোল দিচ্ছিল। কেননা মানুষটার পাশে হাঁটতে খুব বেশি খারাপ লাগেনি তারও।