আমি যাতে খেতে না পারি, তাই বাবা মেপে মেপে চাল দিতেন। ভাত রান্না হতো ঠিক ততটাই, যত বাকিরা খেলে শেষ হয়ে যায়, আর আমার ভাগ্যে জুটতো শুধু ফাঁকা পাতা। তাও বাবা রোজ মেজো ভাবিকে নির্দেশ দিতেন, সকলের খাওয়া শেষে যেনো ভাতের হাড়িতে পানি ঢেলে দেওয়া হয়। বড় আপার বিয়ের সমন্ধ এলে বাবা নিজে ভেঙে দিতেন। নিজের পরিচয় কাজের লোক দিয়ে আমাদের নামে বদনাম করতেন। বাবা চাইতেন না আমাদের বিয়ে হোক, কারণ বিয়ে তার কাছে ছিল অপ্রয়োজনীয় খরচ।