"মেজর আফনান সাদিক গুনে গুনে আমার থেকে ১২ বছরের বড়। তোমরা ঐ বয়স্ক লোকটার সাথে আমার বিয়ে দেবে কী করে?" মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আসে অর্পিতা বেগম। সাথে সাথে বলে উঠে, "অন্তরা! তুই কি পাগল হয়ে গেছিস? আস্তে কথা বল।" "কেন? আস্তে বলার কী আছে?" "ওনারা পাশের রুমে আছেন। তাড়াতাড়ি শাড়িটা পড়ে ফেল। আর একটা কথাও বলবি না তুই। মেয়ের বিয়ের বয়স হলে বাবা-মায়েরা কত চিন্তায় থাকে, সেটা তুই কী করে বুঝবি? সুন্দর করে তৈরি হয়ে নে।" অন্তরা এবার বেশ বিরক্ত হয়। মাত্র কোচিং থেকে ফিরেছে। এখন এসব। তার মা এই ছেলের কথা অনেকদিন যাবৎই বলেছে তাকে। তবে সে তোয়াক্কা করেনি। সত্যি সত্যিই যে বাড়ি অব্দি নিয়ে আসবে, কে জানত? আজকে তার মানে পাত্রপক্ষের সামনে যেতেই হবে মেয়েটাকে। তবে অন্তরার যে বিয়ের পিড়িতে বসার একদম ইচ্ছে নেই। সে মায়ের কাছে এসে আহ্লাদী সুরে বলে, "মা! আর দু মাস পর এডমিশন। আর এখন বিয়ের কথা তুলো কিভাবে তুমি?" "কেন, সমস্যা কোথায়? আমাদের সাত কপালের ভাগ্য এত বড় একজন অফিসারের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে তোর কাকি।" অন্তরা ভ্রু কুচকে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। যেই কাকি একটা ভালো জামাকাপড় পেলে আগে নিজের মেয়েকে পরিয়ে, তার পর অন্তরাকে দেখতে দেয়, সে কিভাবে এত ভালো ছেলে পেয়ে নিজের ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ের জায়গায় তাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছে? অন্তরার ছোট মাথায় তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে নাড়া দিচ্ছে। বারবার বলছে, "অন্তরা বেবি, কুচতো গারবার হে।" সত্যিই কী বিয়েটা কোনো শর্তসাপেক্ষ? নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারিজ দিয়ে শুরু হওয়া একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প? এইদিকে মেজর আফনান সাদিক একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান সেনা অফিসার। দুশ্চিন্তায় আছেন তার সামনের মিশনটা নিয়ে। নিজের দেশ আর ভালোবাসার মাঝে কাকে বেছে নিবে সে? জানতে হলে পড়ুন, "দি বাটারফ্লাই ইফেক্ট"।