বিজ্ঞান পড়ার মাধ্যমে আমরা কুসংস্কার থেকে মুক্ত হই এবং বিজ্ঞানের আবিষ্কার আমাদের সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা আমাদের জীবন উন্নত করার জন্য নিরন্তর গবেষণা করেন। গবেষণা শুধুমাত্র কিছু বিজ্ঞানীর কৌতূহল মেটানোর জন্য নয়; এর মাধ্যমে অনেক প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে যা আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, যেমন ইন্টারনেট। বিজ্ঞান গবেষণাকে মৌলিক গবেষণা এবং ব্যবহারমূলক গবেষণায় ভাগ করা যায়। তবে, বিজ্ঞানের ইতিহাসে দেখা যায় যে অনেক সময় জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এমন প্রযুক্তি বেরিয়ে আসে যা মানুষের জীবন পালটে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি হাজার হাজার বিজ্ঞানী হিগস কণা খুঁজে পাওয়ার জন্য গবেষণা করেছেন। যদিও এই গবেষণার খরচ অনেক, তবে এর মাধ্যমে প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে যা আমাদের জীবনকে উন্নত করেছে। সমাজের উন্নতির জন্য বিজ্ঞান মনস্কতা অপরিহার্য। বিজ্ঞানীদের জন্য বিজ্ঞান পড়া বা ভাবা যথেষ্ট নয়; সাধারণ মানুষেরও এ বিষয়ে মাথা ঘামাতে হবে। হিগস কণার পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের দেওয়া খাজনা থেকে আসে। তাই সাধারণ মানুষের জানা উচিত, তাদের টাকা কোথায় ব্যয় হচ্ছে এবং বাজেট তৈরিকারীদেরও জানা উচিত, এই পরীক্ষার মাধ্যমে সমাজের কি লাভ হতে পারে। এই সব জানার একমাত্র উপায় হচ্ছে বিজ্ঞান পড়া, বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কারের খবর রাখা এবং তা নিয়ে আলোচনা করা।