"অহং" — স্বপ্না আর নীরবের গল্প। শুরুটা ছিল জানালার পাশে চুপচাপ বসে থাকা, মাঝেমধ্যে হেসে ওঠা, আর কিছু অবিন্যস্ত কথোপকথন। যেন দুজন মানুষ একে অপরকে না চাইলেও কোথাও গিয়ে ঠিক জড়িয়ে পড়ছে। বন্ধুত্বটা ধীরে ধীরে রঙ পাল্টায়। কিন্তু সেই রঙে সবসময় আলো ছিল না। আস্তে আস্তে ঢুকে পড়ে ক্যারিয়ারের দৌড়, নতুন মুখের উপস্থিতি আর ভেতরের অজানা এক অহংকার—যা চুপিচুপি দূরত্ব তৈরি করে দেয়। নীরব ভালোবাসতে চেয়েছিল সহজভাবে। কিন্তু স্বপ্নার চোখে তখন সাফল্যের ঝলক, আর মনে গাঢ় এক তৃষ্ণা—নিজেকে প্রমাণ করার, কিছু হওয়ার। সেই তৃষ্ণা ভালোবাসার কোমলতা গ্রাস করে নেয়। এই গল্পটা তাই শুধু প্রেমের নয়। এটা এক কষ্টের আয়না, যেখানে দেখা যায়—কখনো কখনো কাছের মানুষটাই সবচেয়ে দূরে সরে যায়, নিঃশব্দে। "অহং" এক নিঃশব্দ সংঘাতের কাহিনি, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সব সম্পর্কই টিকে থাকে না, আর সব ভালোবাসার শেষেই হয়তো সুখ লেখা থাকে না।