ইতিহাস উদ্ধারের কাজটি সবার দ্বারা হয় না। অনেকেই ইতিহাস লিখেন। কিন্তু ইতিহাস আবিষ্কারের কাজ বিরল সাধনা ও অনুসন্ধিৎসা ছাড়া সম্ভব নয়। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জমিয়ত: জ্যোতির্ময় অধ্যায়’ বইটিতে ইতিহাসের চেপে রাখা এক অধ্যায় আবিষ্কারের কাজ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ফলে ইসলাম ও ইসলামী চেতনার মানুষ এবং আলেম-উলামাকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলে। এদেশে ইসলামী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে রাখার প্রধান উপাদান হলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অপব্যবহার। এর মাধ্যমে যুগের পর যুগ ধরে ইসলামী শক্তিকে ঢালাওভাবে অপরাধী বানানোর চেষ্টা চলে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের সকল কৃতিত্ব কুক্ষিগত করে বিশেষ কিছু গোষ্ঠী দেশ ও জাতির উপর ছড়ি ঘুরাচ্ছে। ইসলামের বিভিন্ন চিহ্ন ও মুসলিম সংস্কৃতির নানা প্রতীককে রাজাকারের প্রতিক হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ইসলামপন্থীদের জাতীয় শত্রু হিসেবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু সত্য হলো, মুক্তিযুদ্ধের গোড়ায় ভূমিকা রেখেছেন ইসলামী চেতনাধারী মানুষেরা এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। কারণ, ন্যায়, ইনসাফ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার নীতিবোধের জায়গা থেকে গোটা উপমহাদেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়েছিলো জমিয়ত। ভারতের জমিয়ত তো বটেই, পাকিস্তানের জমিয়তও বাংলাদেশের পক্ষে ছিলো সোচ্চার। তিনদেশে একই সাথে দলটি শক্ত ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে ত্বরান্বিত করেছিলো। বাংলাদেশের আর কোনো দল এই অবদান দাবি করতে পারবে না। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো দলই উপমহাদেশব্যাপী বিস্তৃত ছিলো না। এই সত্যকে প্রমাণ করেছেন নিষ্ঠাবান ঐতিহাসিক ও গবেষক জনাব মুসা আল হাফিজ।
Read all reviews on the Boitoi app