"অসাধারণ একটি লেখনী। মাশাআল্লাহ। আমাদের জীবনের কিছু মর্মস্পর্শী, নেতিবাচক মনোভাবের পরিবর্তন করতে এই বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। অসাধারণ একটি ইতিবাচক চিন্তা ধারার বই। আমার খুবই ভালো লেগেছে।"
মা শা আল্লাহ। বারকাল্লাহু ফিক। এটা ছিল লেখিকার তিন নাম্বার বই যা পড়ে শেষ করলাম একটু আগে আমি। শুরুতে তামারার চরিত্রের বর্ণনা পড়ে ভীষণ ইর্ষা ই হচ্ছিলো আমার। এতো ভালো মেয়ে সে, এতো নম্র ,ভদ্র ,ধার্মীক আর লাজুক স্বভাব আমাকে মুগ্ধ করেছে। মোর্শেদা আপুর লিখনিগুলোর মূলমন্ত্র এখানেই, পড়লেই আরো বেশী ভালো মুসলিমাহ হবার ইচ্ছে জাগে। নিজের দিকে তাকালে লজ্জা আর আফসোস লাগে। কত কদাকার আর ভুলে ডুবা একটা জীবন। বিপুলের মা যদিও ছেলের কঠিন অসুখ গোপন করে বিয়ে করিয়ে অন্যায় করেছে তামারার সাথে ,,কিন্তু স্বামী হিসেবে বিপুল ও যথেষ্ট ভালো ছিল। তার আধার ,নিরাশার জীবনে তামারা এসেছিল এক টুকরো সুখের আবহ আর আলোর ফোয়ারা নিয়ে। এটাই নিয়তি,আর সব বিপদের মাঝেই যে রব্বের হিকমাহ সুক্ষ্ণভাবে লুকিয়ে থাকে,সবরের প্রতিদান যে কি পরিমাণ চক্ষুশীতলকর হতে পারে সেগুলো যেন আপুর গল্পের মূল শিক্ষা। প্রতিটি গল্প যেন এই একই সবক দিয়ে যায়। কি সাবলীল ভাবে গল্পের পরতে পরতে জীবন সংলগ্ন শরীয়তের লেসনগুলো জানান দিয়ে যায়,একটুও একঘেয়েমি লাগেনা পড়তে, মা শা আল্লাহ। আর তাসনুভার মতোন একজন বোন পাওয়া সত্যিই অসামান্য রিযক। দুই বোনের বন্ধন সত্যিই অতুলনীয়। সবশেষে তুহিন , তার ব্যক্তিত্ব মুগ্ধ হবার মতোই। তার মতোন সৎ,দায়িত্বশীল,উন্নত চিন্তাধারা আর সত্য অকপটে বলতে পারার মতোন চরিত্র বাস্তবজীবনে বিরল।তামারা তার যোগ্য মানুষটাকেই সবরের প্রতিদান হিসেবে পেয়েছে সবশেষে। আমার পছন্দের HAPPY ENDING দেয়ার জন্য লেখিকাকে আবারো ধন্যবাদ।
Read all reviews on the Boitoi app
এটা ছিল আমার প্রথম কেনা ই বুক। বেশ কয়েকবার পড়েছি। যতই পড়ি, পুরনো হয় না। আবারও পড়তে ইচ্ছে করে।
কি বলবো আর! আল্লাহ! আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি এটা পড়ে। তুহিন নামটা পুরোপুরি ওলটপালট করে দিয়েছে আমাকে। শুরু থেকেই আমার তুহিনকে ভালো লেগেছে। বাড়ির ছোট ছেলে, ছোট চাচ্চু, ছোট ভাইয়া এই ক্যারেক্টারগুলোর প্রতি আমার অন্যরকম আকর্ষণ এমনিতেই আছে। তুহিনও ছিল দুর্দান্ত ক্যারেক্টার। সেই সুবাদে শুরু থেকেই আমার ওকে ভালো লাগে। তবে বিপুল নামটাই কেমন বেমানান লাগছিলো নায়ক হিসেবে। তুহিনকেই বারবার নায়ক ভাবতে ইচ্ছে করছিলো। আবার তাসনুভার সাথেও ওকে ভালো লাগছিলো না। মাঝে একবার খারাপ লেগেছে বিপুলের অপারেশনের পর বিপুল আর তামারার কোনো দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়নি বরং সরাসরি তুহিন আর তাসনুভাকে দেখানো হয়েছে। যাইহোক, উপন্যাসটা পড়ে একই সাথে গম্ভীর হয়ে পড়েছি, হেসেছি, থমকে গিয়েছি, চোখের জল লুকিয়েছি, উত্তেজিত হয়েছি এবং সবশেষে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! বইটইয়ে কেনা এটা প্রথম বই ছিল আমার। কেনার সময়ও বারকয়েক ভাবছিলাম ঠকে যাব কিনা, সুন্দর হবে কিনা। ইয়া রব! পড়ার পর কি বলবো আর.. এমন গল্প পড়তে ৫০ টাকা কেন, হাজার টাকা দিতেও রাজি। মা শা আল্লাহ, মা শা আল্লাহ! এর কোনো তুলনা হয় না। অসাধারণ সুন্দর। আল্লাহ আমাকেও এমনভাবে লেখার তাওফিক দিক। তুহিন নামটা ঠিক কতদিনে আমার ব্রেইন থেকে বের হবে আমি জানি না। সামিরকে তো আজও বের করতে পারিনি। তুহিন জায়গাটা আরও পাকাপোক্ত করে নিয়েছে। তুহিন! অসাধারণ...
তামারা পড়লাম আপু। বরাবরের মতোই একদম একটানা পড়ে গেছি। কোথাও এতোটুকু একঘেয়ে লাগার উপায় ছিলো না। আসলে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল যা করেন সবসময় ভালোর জন্যেই। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে বিপুলের সাথে তামারার বিয়েটা হয়ে ওর কি এমন ভালো হলো? ওর তো ক্ষতি হলো। এতো এতো ঝড় ওর জীবনের উপর দিয়ে বয়ে গেলো। কিন্তু গভীরভাবে ভাবলে বোঝা যায় যে এরকম হাজারও তামারাদের জীবনে এমন ঘটনা যদি ঘটেও থাকে তাহলে বুঝতে হবে তার পেছনে লুকিয়ে আছে মহান রবের অতি সুক্ষ, অতি নিখুঁত সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনা তার বান্দার জন্য। এখানে তামারার জন্য তুহিনই পার্ফেক্ট। দুনিয়ার কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়ে জান্নাতের পথে হাঁটার জন্য আল্লাহ আযযা ওয়া জাল তামারার সাথী হিসেবে তুহিনকেই ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তুহিন যেমন পরিবেশ - পরিস্থিতিতে ছিলো আর তামারা যেমন পরিবেশ - পরিস্থিতিতে ছিলো তাতে তাদের বিয়ে হওয়াটা ছিলো আকাশকুসুম কল্পনার মতো। তাই তুহিন আর তামারার এক হওয়ার পথে বিপুল যেন একটা সিড়ি, যে সিড়ির কোনো বিকল্প নেই ! বিপুলকে ছাড়া তামারা কিংবা তুহিনের পথ এক হওয়াটা কখনোই সম্ভব ছিলো না। আবার বিপুলের দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের পথেও তামারাও যেন এমন একটা সিড়ি, যে সিড়ির কোনো বিকল্প নেই। তামারা ওর জীবনে না এলে তো ও নিজের জীবন নিয়ে ডিপ্রেসডই থেকে যেতো আর সেভাবেই ওকে দুনিয়ার সফর শেষ করতে হতো। কিন্তু তামারা এসে ওকে বুঝিয়েছে দ্বীন কি? ওকে রবকে চিনতে সাহায্য করেছে। ওকে বুঝতে সাহায্য করেছে দুনিয়ার এই জীবনের ইতি মানেই সবটা শেষ নয়, তার পরেও অনন্তকালের জীবন পড়ে আছে। আমাদেরকে সেই জীবনের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হবে৷ তাই তো শেষ দিনগুলো বিপুল মানসিকভাবে শান্তিতে কাটিয়েছে। আর একই ব্যাপার ঘটেছে তুহিনের বেলাতেও। ওও বুঝেছে যারা পর্দা করে তাদের উপর জোর করে বিধানটা চাপিয়ে দেয়া হয় বলেই করে না। তামারার মতো এমন অনেক মুসলিমাহ আছে যারা আল্লাহ আযযা ওয়া জালের এই আসমানী বিধানকে ভালোবেসে গ্রহণ করেছে। ইসলামের সমস্ত রুলসকে তারা নিজের জীবনের চাইতেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। কিন্তু তামারার শাশুড়ি মানুষটা খুবই মিন মাইন্ডেড। উনি তো লিট্রেলী প্রতারণা করেছে তামারার সাথে সত্যি লুকিয়ে। আর তার ননদও নীচু মনের। বিপুলের মৃত্যুর পরেও তারা সম্পত্তি নিয়ে কনসার্ন, সবকিছু নিয়ে কনসার্ন অথচ তামারার দিকটা তারা একবারও ভাবলো না। প্রথমে শাশুড়ি তামারাকে কাছছাড়া করতেই চাইছিলো না যেন কত ভালোবাসে ওকে অথচ মিসক্যারেজ হয়ে যাওয়ার পর ওর মা যখন ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো তখন কিন্তু একবারও ওকে আঁটকায়নি। একমাত্র তুহিনই তামারার অধিকার নিয়ে কনসার্ন ছিলো। অবশেষে ওদের বিয়েটা হয়ে যাওয়ায় খুব ভালো লাগলো। তামারা যেন এতো এতো ঝড়-ঝাপটা পার করে অবশেষে শান্তি পেলো। আমার বিশ্বাস বাকি জীবনটা ওকে তুহিন সবসময় আগলে রাখবে ; এতোটুকু কষ্ট পেতে দেবে না।🖤
ভালো লেগেছে গল্পটা ভীষণ, আপুর সবগুলো গল্পই অনেক সুন্দর হয়। আরো বেশি বেশি গল্প দাও।
আপনার লেখায় কি জাদু আমি জানিনা আপু তবে পড়তে পড়তে মনে হয় শেষ না হোক পড়তেই থাকি। সব মশলা পরিমাণ মতো না হলে একটা খাবার কখনোই সুস্বাদু হয় না। আপনার লেখাগুলোতে সব মশলা পার্ফেক্ট হয় বলেই এতটা মজা লাগে। জাস্ট অসাধারণ একটা সময় কাটে আপনার লেখার সাথে। আমার অবসর গুলো ফানসে হয়ে যেতো আপনার লেখা না পড়লে। একরাশ ভালোবাসা নিবেন আপুমণি।❤️❤️❤️
এত সুন্দর গল্প, এত্ত সুন্দর শব্দ চয়ন, বর্ননা ভাঙ্গী, ভাবনার গভীরতা। মোট কথা চমৎকার লিখনী আপনার, মাশাল্লাহ 😇 অনেকদিন পর এত চমৎকার লেখা পড়লাম। দোয়া এবং শুভকামনা রইল 🫰
আপুর লেখনি জাস্ট অসাধারণ। যতোই পড়ি তৃপ্তি মেটেনা
শাহীনের মতো অমানুষগুলোও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, মেনে নেওয়া মুশকিল।
খুবই সুন্দর। দারুণ লেগেছে পড়ে আমার। রুবির আপুর লেখা আমার অনেক পছন্দ। তার লেখা আমি কখনো মিস করি না।