তাওসিফ মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলো, "আপনার সঙ্গে দু'বার দেখা হলো। অথচ নামটা জানা হলো না।" মেয়েটি মৃদু হেসে বলল, "দু'বার যখন দেখা হলো, ধরে নিন আরও হবে। কানেকশন যখন হয়েই গেল! নামটা নাহয় পরের দেখায় জেনে নিলেন।" মেয়েটির ভনিতা করে কথা বলা তাওসিফের পছন্দ হলো না। তাই আর কথা বলল না। দুজনেই চুপচাপ বসে রইলো। মেয়েটির যখন যাবার সময় হলো, তখন বলল, "আমার নাম সিসিলিয়া রহমান চৌধুরী।" তাওসিফ চমকে উঠলো। মেয়েটি মৃদু হেসে বিদায় নিলো। সিসিলিয়া রহমান চৌধুরী নামটা ওর পরিচিত। যার সঙ্গে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছিলো। এই কী সেই মেয়ে! সিসিলিয়া নাম যে কারও হতে পারে, কিন্তু সিসিলিয়া রহমান চৌধুরী নামটাই যে রহস্য।
"এক কথায় অসাধারন ছিল।যতক্ষণ পড়েছি ততক্ষণ গল্পে মজে ছিলাম।শেষের অংশে আমার চোখে পানি এসে গেছে।আপু আপনি এতটা বাস্তবের মত লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন,মনে হচ্ছে সব চরিত্র জীবন্ত। এমন একটা চমৎকার বইয়ের জন্য আপনার প্রশংসা করলেও কম পড়বে।অনবদ্য সৃষ্টি।"
খুব ভালো লাগলো।
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পে ক্লিফ হ্যাংগার বা রুদ্ধশ্বাস মুহুর্ত রেখে যবনিকাপতন যেন নিপার এক বিশেষত্ব। আমার মন খারাপ হলে আমি হুমায়ুন স্যারের লেখা পড়তাম,এখন নিপার লেখা পড়ি।এত সহজ, সুন্দর,সাবলীল ভাবে লিখে চলে মনে হয় লেখাই যেন এর সহজাত গুণ।দারুণ এই বইটি পড়ে সিসিলিয়া আর সৈকতের প্রেমে পড়ে গিয়েছি।
এত চমৎকার একটা গল্প। গল্পে অনেকগুলো মানুষের সম্পর্কের সমীকরণ দেখিয়ে আবার গুছিয়ে সবগুলোকে এক জায়গায় এনে শেষ করা অনেক সুন্দর লেখনীর পরিচয়।
ভীষণ মিষ্টি একটা লেখা! আনন্দ-বিষাদ, ভালোবাসা আর মায়ার চমৎকার সংমিশ্রণ। চরিত্রগুলো এত আদুরে! বরাবরের মতো রিফ্রেশিং। অনেক শুভকামনা, কলম চলতে থাকুক এভাবেই 🥰❤️
এতো চমৎকার একটা লেখা, একটানা পড়ে শেষ করলাম। এতো ভালো লাগলো। আপনি দারুণ লিখেন।বইটই এই আপনার লেখার সাথে পরিচয়।
সাবিকুন নাহার নিপা আপুর গল্পে কিছু ক্যারেকটার প্রায়ই থাকে যারা হেয়ালি অথবা রুঢ়তার আড়ালে নিজেদের ঢেকে রাখে, আদতে তাদের জীবন থাকে শূন্যতায় ভরা। গল্পটা পড়লে সৈকত, প্রমা, সিসিলিয়া সবার প্রতি একটা অদ্ভুত মায়া কাজ করে যেন তারা আমার চারপাশেই আছে। নিপা আপু ভালোবাসাময় লেখনী এভাবেই লিখতে থাকুন॥
অসাধারণ অসাধারণ
খুব সুন্দর একটা বই।
Good
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণটা পড়ে মনে হলো এটা একটা শুভ্র অনুভূতি শুভ্র ভালোবাসার গল্প।জীবন এমনই জীবন সবাইকে সব দেয়না আবার না দিয়েও রাখে না।আপাত দৃষ্টিতে দেখলে এখানে সবাই তাদের জীবনে কিছু পেয়েছে যেটা তাদের ভাগ্যে থাকতে পারে সেটা তারা ভাবেই নি, তবুও পেয়েছে সাথে অসংখ্য দুঃখ। এভাবেই জীবন চলে এটাই সত্য সুখ দুঃখের অনুভূতি নিয়েই জীবন। তাওসিফকে যদি মাফ করা হতো বা ওর সাথে ভালো কিছু হতো তাইলে এখানের প্রতিটা চরিত্রের সাথে হয়তো বেইমানি হতো, আমি প্রতিটা মুহূর্তে চাচ্ছিলাম তাওসিফ যেন এদের জীবনে জড়িরে থাকা কোনো সুখ না পাক এটাই ওর শাস্তি ওর সুখ বাইরেই হওয়া উচিত। লেখিকা সব সময় এক বুক চিনচিনে অনুভূতি দিয়ে শেষ করে, আর সত্যি বলতে এইজন্যেও উনার লেখা মনে থেকে যায় দীর্ঘসময় সুখ হয়ে নয়তো বুকব্যাথা হয়ে।