ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে সিরিয়ার রাক্কা শহরটি। অল্প কিছুদিনের ভেতরেই তছনছ হয়ে যায় সেখানকার অধিবাসীদের সাজানো জীবন, নানাবিধ আতঙ্কে কাটতে থাকে শহরবাসীর প্রতিটি মুহূর্ত। টেলিভিশনের বেচাকেনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে; পায়জামার আকার ঠিক না হলে কপালে খারাবি আছে; আর মােবাইলে কথা বলা? সেটা তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ! কো্নো সাংবাদিকই সেখানে ঢুকতে পারে না। আর কেউ যদি পশ্চিমা গণমাধ্যমের সাথে ভুলেও কিছু শেয়ার করে, তাহলে শিরচ্ছেদই তার একমাত্র পরিণতি। এত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও মাসখানেক চেষ্টার পর অবশেষে আল-শারকিয়া ২৪ (টুয়েন্টি ফোর) নামে এক ছোট এক্টিভিস্ট গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় বিবিসি। তাদেরই এক কর্মী। নিয়ে নেন দুঃসাহসী এক সিদ্ধান্ত আইএস এর অধীনে থাকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত ডায়েরির ম্তো করেই সবার সাথে শেয়ার করবেন তিনি। নিজের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের আইসিসের হাতে প্রাণ হারাতে দেখেছেন তিনি, দেখেছেন। সুন্দর শহরটাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতে, স্থানীয় অর্থনীতিকে ধুকে ধুকে মৃত্যুর ক্ষণ গুণতে।। এই সবকিছু দেখেই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন সামির; হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন কলমকেই, যে হাতিয়ার দিয়ে তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চান ইসলামিক স্টেটের স্বরুপ, শোনাতে চান ফেলে আসা সোনালী দিনগুলোর গল্প। হ্যাঁ, এটাই সামিরের কাহিনি।