জীবনের একটি বড় প্রকল্পের নাম পরিবার; যার অন্যতম প্রধান চরিত্র নারী। ধারণা করা হয় পরিবারের সামগ্রিক শান্তি, শৃংখলা ও সৌহার্দ্যের অনেকাংশই নারী সদস্যেদের ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কাঁধে চাপানো থাকে সবার মন জোগানোর দায়িত্বটাও। তাই নারীকে হতে হয় বিচক্ষণ ও নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত। অপরিহার্য হয়ে পড়ে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কোন্নয়নের; আপন সঙ্গী, শ্বশুর, শাশুড়ী, ননদের সঙ্গে বোঝাপড়ার, পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও খুঁটিনাটি বিষয়ে সমঝোতার। কিন্ত কিভাবে? এর সমাধান খোঁজা হয়েছে অর্ধশত বছরের তীক্ষ্ণ অভিজ্ঞতা থেকে; পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় পরিশ্রান্ত চোখের ক্লান্ত চাহনি থেকে। পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পারিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কিত এই ভাবনাগুলো প্রত্যেকের মনোজগৎকেই আলোড়িত করবে। ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে প্রত্যেকেই সচেতন হবে। সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জনপ্রিয় লেখিকা মাসুদা সুলতানা রুমীর জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারা সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। জীবনের অমূল্য এই বন্ধন সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি মহান রবের সাথে খাঁটি ও নিষ্কলুষ সম্পর্ক গঠনেও এসব চিন্তাধারা প্রতিটি জুটি ও পরিবারকে সাহায্য করবে। ভালোবাসার সীমা ব্যক্তি হৃদয় ছাপিয়ে পৌঁছে যাবে আরশে আজিমের মহিমান্বিত পথে। সেই ভালোবাসা হৃদয় জমিনে প্রশান্তির চাষাবাদ করবে। যে ভালবাসার জোরে পথিক অক্লান্ত ছুটতে থাকবে মঞ্জিলের পথে; অবশেষে স্থায়ী নীড় বাঁধবে জান্নাতের সবুজ বাগানে। পথ চলা শুরু হোক সেই অনন্ত ভালোবাসার পথে…
বেশ ভাল একটি বই। সহজ সরল ভাষা বলেছেন সব কিছু।
Read all reviews on the Boitoi app