একদিন রাতে ফয়জার ভাই সাজুকে বলল, আমার জ্বর এসেছে। কাউকে বলে ওষুধ আনানোর ব্যবস্থা করো। সাজু একটা ছোট ভাইকে দিয়ে ট্যাবলেট আনিয়ে নিল। এমনকি খুব যত্ন সহকারে ফয়জার ভাইকে ওষুধও খাওয়াল। পরেরদিন সকালে জানা গেল সেটা জ্বরের ওষুধ ছিল না। ভায়াগ্রা জাতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ছিল। সাজুর বারবার ফোন বেজেই চলছে। স্ক্রিনে নাম উঠছে আইভিলতা। এই মায়াবী আর ধৈর্যের মূর্তিটির কাছেই সাজুর সমস্ত সুখ গচ্ছিত। সাজুকে একমাত্র কন্ট্রোল করার ক্ষমতা শুধু তারই। তার বুকে মাথা রেখেই আগামীর স্বপ্ন সাজায় সাজু। আইভিলতার সাথে সম্পর্কটা কয়েক দিন ধরে তিক্ততায় ভরা। কালো ফ্রেমের নিচে চোখ জোড়া সবসময় লাল হয়ে থাকে। যেন এখনই কান্না শেষ হলো বা সাদা ধবধবে মুখখানা কারো মৃত্যুশোকে জর্জরিত। অথচ এই মুখ আর চোখের দিকে তাকিয়ে থেকেই সময় কাটত সাজুর। আজ যেন পলাতক আসামির মতো নীরবে মাথা নিচু করে থাকে সাজু। আইভিলতার চোখের দিকে একবারও তাকায় না। যে নরম তুলতুলে দেহে কাঁপন তুলিয়ে সাজু সব পাওয়ার দেশে হারিয়ে যেত নিজের ইচ্ছে পূরণের মিশনে। মুখোশহীন দেহের ওপর দশ আঙুল নামক অস্ত্র চালাত মনে আনন্দে। সেই সময়ও সে নীরবে দেখে যেত সাজুর আনন্দ মিশ্রিত মুখ। নিজেও সুখ পেত তা দেখে। বুঝতে চেষ্টা করত সাজুর চোখ, মুখ, বুক ও হাতের নিখুঁত কারুকাজ। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে ছেড়ে বলত, এখন খুশি তো? আর বাজে ছেলেদের সাথে মিশবা? সিগারেট খাবা?