ঘরের তালা খুলতেই টেলিফোনের শব্দ। প্রথম ভাবলো ফোনটা ধরবে না। পরক্ষণেই মত পরিবর্তন করলো লিটন। জরুরি কোনো ফোনও হতে পারে। - হ্যালো.. স্লামুঅলাইকুম। - লিটন কেমন আছ? বড় ভাবী ফোন করেছে। - এই তো ভাবি, চলছে। তোমরা কেমন? - ভালো। এতক্ষণ ধরে বাজছে, কোথায় ছিলে? - অফিস থেকে ফিরলাম মাত্র। লিটনের গলায় ক্লান্তি। - হুম.. শোনো .. নেক্সট ফ্লাইটে রংপুর আসতে পারবে? - বলতে পারছি না। কেন বলতো? - দরকার আছে। তোমার ভাইয়া আসতে বলেছে। সম্ভব হলে আমাকে জানাইও। - আচ্ছা দেখি। শুভ্র কেমন আছে? শুভ্র লিটনের দুই বছরের ছেলের নাম। - ভালো আছে। ওর বাবার সাথে খেলছে। - ও। - ঠিক আছে, জানাইও কিন্তু। রাখছি। দরকারটা লিটন জানে। নিশ্চয়ই তার জন্য নতুন মেয়ে দেখা হয়েছে। চারপাশের সবাই যেন উঠে-পড়ে লেগেছে। অথচ কেউ বোঝে না, লিটন এখনো নাসরিনের কথা ভুলতেই পারছে না। নাসরিনের মতো বউ কী পাওয়া সম্ভব? নাসরিন বেঁচে থাকলে এখন কী করত? এই তো, সাড়ে পাঁচটা বাজলে বারান্দায় গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতো। লিটনের ফেরার অপেক্ষায়। তারপর কলিংবেল চাপতেই সেই হাসিমাখা মুখ- এতো দেরি করলে যে! লিটনের সারা দিনের ক্লান্তি যেন মুহুর্তেই মুছে যেত। - কই, সাড়ে পাঁচটাই তো বাজে! সুখের দিন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। তারপর শুরু সুখস্মৃতির যন্ত্রণা।