ইতিহাসের এক ধরনের নিজস্ব রং আছে। পুরো পৃথিবী একজোট হয়েও সে রং বদলাতে পারে না; উলটো নিজের মতো করে রাঙিয়ে যায় পৃথিবীকেই। অবশ্য বর্ণচোরা শ্রেণি ক্ষণিক সময় কৃত্রিম রঙের কারসাজির আয়োজন করতে পারে। কিন্ত ইতিহাস তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায় কারসাজির খেলাঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেখান থেকে বেরিয়ে খাঁটি ও পরিশুদ্ধ ইতিহাস মাথা উঁচু করে ঘোষণা করেন ‘আমি সত্যের পক্ষে।’ ইতিহাসের দেয়ালে মিথ্যার প্রলেপ দেওয়ার অপচেষ্টা পৃথিবীর শুরু থেকেই চলমান। বিপরীতে একশ্রেণির সত্যাশ্রয়ী মানুষ সে মিথ্যা প্রলেপ সরানোর লড়াই জারি রেখেছে। দীর্ঘদিন ধরে কেউ প্রলেপ না সরালে স্বভাবতই ইতিহাসের গায়ে ধুলোকালির স্তূপ জমে যায়। এমন সন্ধিক্ষণে কাউকে না কাউকে ধুলোকালি সরানোর দায়িত্ব নিতে হয়। মিথ্যায় চাপা পড়া ইতিহাসকে ধুয়ে-মুছে নতুন করে সত্যের চাদর পরিয়ে দিতে হয়। জোর করে চেপে দেওয়া ইতিহাসকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে হয়। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট, সমাজচিন্তক ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য ইতিহাসের ধুলোকালি মুছতে কলম হাতে তুলেছেন। প্রচলিত ভুল ইতিহাস থেকে ছেঁকে ছেঁকে পরিশুদ্ধ ইতিহাস বের করে এনেছেন। ‘ইতিহাসের ধুলোকালি’ গ্রন্থ বুদ্ধিবৃত্তিক দায়বদ্ধতা থেকে উৎসারিত; যার ফলে আগামী প্রজন্ম নির্মোহ সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর উপাত্ত পাবে।
স্বাধীনতার উত্তর বাংলাদেশ বইটি এই কাঠামোয় পড়তে চাই। কবে এটা এখানে পাওয়া যাবে?
Read all reviews on the Boitoi app
ভাই পিনাকীর স্বাধীনতার উত্তরে বাংলাদেশ বইটা, আপনাদের বইটই তে পড়তে চাই।