গাঁয়ের শেষ সীমানায় একটি জঙ্গল। জঙ্গলের ভেতর একটি জলাশয়। গ্রামবাসীরা কেউই সেই জলাশয়ের ধারে কাছেও ঘেঁষতে চায় না। জলাশয়টাকে তারা আজরাইলের চাইতেও বেশি ভয় পায়। কিন্তু কেন?
গল্পটা একটা জলাশয়ে বাস করা দানবকে নিয়ে৷ একটা মিথ, আর তাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের ভয় যা ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসের মতো। সেই ভয়কে জয় করে সিদ্দিক নামের এক তরুণ এক বর্ষারাতে একাই জলাশয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় মাছ ধরার জন্য। এরপর? এরপরে কী ঘটে তা সেটাই 'জলজ' উপন্যাসিকায় আছে। শুভাশীষ বাপ্পীর বর্ণণাভঙ্গী ভালো, উপমা-রূপকের ব্যবহারেও পটু৷ গল্প এগিয়েছেও বেশ দ্রুত, দীর্ঘসূত্রিতা ছিল না, যেটা বেশ ভালো দিক। কিন্তু কিছু কিছু অধ্যায়ে অত্যাধিক উপমা-রূপকের ব্যবহার ভালো লাগেনি। বানান ভুল চোখে পড়েছে প্রচুর, এত ছোট কলেবরের লেখায় এত ভুল মানা যায় না। এ ব্যাপারে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ ছিল। ওভার অল আমার কাছে অ্যাভারেজ লেগেছে। পারসোনাল রেটিং: ৬/১০
Read all reviews on the Boitoi app
সোজা কথায়, মূল কাহিনি দম বন্ধ করা টানটান উত্তেজনার। পড়তে পড়তে প্রচণ্ড অস্বস্তি হবে আপনার। এটাই লেখকের স্বার্থকতা। আমি বিশেষভাবে ওনার লেখার ব্যাপারে দুইটা জিনিস পয়েন্ট আউট করতে চাচ্ছি: ১) উনি অন্ধকার প্রকৃতির বর্ণনা খুব ভালো দেন। পড়ে আপনার মনে হবে চরম নিরাশায় ভুগতে শুরু করেছেন। তুলনা করছি না অবশ্যই, কিন্তু ক্ষণিকের জন্য মনে হলো অ্যালজারনন ব্ল্যাকউডের "দ্য উইলোস" পড়ে এরকম একটা অনুভূতি কাজ করছিলো। ২) যারা বইটা পড়েছেন, তারা সবাই-ই সম্ভবত ওনার শব্দচয়নের কথা বলবেন। উনি এমনভাবে গল্পের চরিত্রদের অনুভূতিগুলোর বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন, যেন আপনার মনে হবে বুঝি আপনি নিজেই তা ছুঁয়ে দেখতে পারছেন। কিছু অকেশনাল বানান ভুল অগ্রাহ্য করলে উপন্যাসিকাটা বেশ খাসা। বৃষ্টির রাতে কিংবা রাতে ঘর অন্ধকার করে পড়া হাইলি রেকমেন্ডেড। দুইটা একসাথে মিলে গেলে তো জমেই গেলো! শুভকামনা লেখকের জন্য।
বর্ণনা চমৎকার৷ শব্দচয়নে বেশ পরিপক্কতার ছাপ৷ থ্রিলটা সৃষ্টি হয়েছে৷ কিছু শব্দে ভুল আছে৷ শেষপর্যন্ত শেষ হইয়াও শেষ হইলনা ব্যাপার৷ দানবটা আসলে অতিপ্রাকৃত কিছু নাকি কোন প্রাণীর পরিবেশগত বিকৃতির ফসল সেটা আমি ধরতে পারিনি৷ সব মিলিয়ে উপভোগ্য৷
দুর্দান্ত একটি উপন্যাসিকা। বিশেষ করে প্রকৃতির বর্ণনা এবং ঘটনাক্রম ছিল অসাধারণ। ভালো লেগেছে। থ্রিলার জনরায় এমন গল্প আমি খুব কমই পড়েছি। লেখকের জন্য শুভ কামনা।