বেদনার রং শুধু নীল নয় মূলত একটি ছোট গল্পের সংকলন। এখানে স্থান পেয়েছে লেখকের জীবনের বিভিন্ন সময়ের ঘটনা। কাজের সুবাদে তিনি এক যুগেরও বেশি সময় প্রবাস জীবন যাবন করেছেন। স্বদেশ থেকে দূরে থাকার বেদনা তার লেখনীতে বারবারই ফুঁটে উঠেছে। তার লেখায় বারবারই দেখা যায় গ্রাম বাংলার কথা, সেখানকার মানুষের কথা। সব শেষে বলতে চাই লেখকের এই গল্প সমগ্রটি সংকলন করতে পেরে আমার বেশ ভালো লাগছে। বইয়ের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ুক এ বাংলার আকাশে বাতাসে, সবখানে। এ পৃথিবী বইয়ের হোক। বইয়ের নেশা গ্রাস করুক আমাদের সকলকে। এ দেশের লেখকরা বেদনার রংকে নীল বলে অভিহিত করেছেন, তার উপর ভিত্তি করে বানিয়েছে নাটক, সাহিত্য। লেখক শরীফ মাহমুদ সে প্রথার বিরোধিতা করেছেন। সেদিন জলন্ত সিগারেট হাতের কব্জির উপর চেপে ধরে দেখেছি প্রথমে খয়েরী কালো, তারপর নীলাভ শুভ্র, অত:পর টুকটুকে লাল বর্ণ। আবার কারো বেদনা পাটের রশির মত সোনালী কিংবা অন্য রঙ বেরঙ, যেমন সবুজ গাছের ডাল অথবা ঘরের ফ্যান। এমনও আছে, কারো কাছে একমুঠো সিদ্ধ ভাত কিংবা আটার তৈয়ারী একটা গোল রুটির মত। বেদনা শুধুই নীল নয়...