এ বছরটি আমাদের দেশের জন্য নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ।জাতীয় নির্বাচনের এই বছরে আগামী অল্প ক'দিনের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার একেবারেই দ্বার প্রান্তে বাংলাদেশ।ইতিমধ্যেই আমরা সংবাদপত্র থেকে জেনেছি আগামী ২০মার্চ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।জানাগেছে, একটি দেশকে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে গেলে যে তিন সূচকের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়, বাংলাদেশ সেই তিনটি শর্তই পূরণ করতে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পেরেছে।প্রথম শর্তে দেশে মাথাপিছু আয় ১২৪২ মার্কিন ডলার হতে হয়, যা বাংলাদেশ বেশ আগেই অতিক্রম করেছ এখন দেশে মাথাপিছু আয় ১৬১০ মার্কিন ডলার।দ্বিতীয় শর্তে মানব সম্পদের উন্নয়ন, অর্থাৎ দেশের ৬৬ ভাগ মানুষের জীবন যাত্রারমান উন্নত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২দশমিক ৯ভাগ।আর তৃতীয় শর্তে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক ভাবে ভঙগুর না হওয়ার মাত্রা ৩২ ভাগের নিচে থাকতে হবে।বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এইমাত্রা ২৫ ভাগ। এসব শর্ত পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে।জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাউন্সিলে পাস হওয়ার পরই আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্নয়নশীল দেশ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণকে স্বাধীনতাণ্ডপরবর্তী জাতীয় জীবনের বড় অর্জন হিসেবে দেখছে সরকার ও জনগণ।এ অর্জনের জন্য ২২ মার্চ সংবর্ধনা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।একই দিন সারাদেশে আয়োজন করা হবে আনন্দ মিছিল।এই আনন্দ উৎসব চলবে ২৬ মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় গেলে আমাদের মর্যাদা বেড়ে যাবে।বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।দরিদ্র দেশ হিসেবে আমাদের আর কেউ দুর্বল ভাববে না।এটা যে কোন দেশের জন্য গৌরবের বিষয়, গর্বের বিষয়, মর্যাদার বিষয়। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এর ফলে উন্নয়নশীল হওয়ার মধ্যে দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।অর্থাৎবাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারিণ্ডবেসরকারি প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে সকল ঝুঁকি বিবেচনা করা হয়, সেটা অনেকাংশেই কমে যাবে।ফলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে।শুধু তাই নয়, আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলো ও ঋণ দিতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠবে।