ছোট চাচার বয়স বড় ভাইয়ার চেয়ে বছর দুয়েক বড় হবে। এখনকার দিনে প্রায় অসম্ভব; কিন্তু বাবাদের আমলে বিষয়টা এ রকমই ছিল। বড় ভাগিনার সঙ্গে মামার বয়স, ভাতিজার সঙ্গে ছোট চাচার বয়স কাছাকাছিই হতো। সেই কাছাকাছি বয়সের ছোট চাচাকে আমরা জন্মের পর থেকে দেখছি আমাদের সঙ্গে। দেখে দেখে ধারণা হয়েছিল, ছোট চাচাদের একসঙ্গে থাকাই বোধ হয় নিয়ম। অন্য কারো বাসায় ছোট চাচা নেই দেখেই বরং অবাক লাগত, ওদের ছোট চাচা আছে কোথায়? ছোট চাচাকে বিয়ে করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল একবার। বাবা খুব দেখে-শুনে একটা মেয়ে ঠিক করলেন। জানা গেল, তাদেরও ছেলেকে খুব পছন্দ হয়েছে। ছেলে কিছু করে না শুনে মেয়ের বাবা নাকি বলেছেন, আগের আমলের রাজা-বাদশাহর ছেলেদের এসব স্বভাব ছিল। কিছু না করে হেসে-খেলে জীবন কাটানো। এই যুগেও যে এ রকম রাজা-বাদশাহর স্বভাবের ছেলে আছে এটা শুনে তিনি অত্যন্ত প্রীত বোধ করছেন। বাবাও তার এই প্রীত হওয়ার জবাবে আরো প্রীত হলেন। চাচার হবু শ্বশুরবাড়ির প্রশংসায় ঘরে টিকে থাকাই দায় হলো।