রিয়ার মা জোবেদা আখতারের মহিলাটিকে খুব পছন্দ হয়েছে। কী রকম সুন্দর দেখতে! কী সুন্দর নিজে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এসেছে! ইশ! তিনি যদি গাড়ি চালাতে জানতেন। তাঁর শখ-টখ কম। সংসার টানতে টানতে নিজের সাধ-আহ্লাদ বিষয়গুলো খাতা থেকে কেটে দিয়েছেন। তাঁর দামি শাড়ি পরার খুব শখ হয় না। তাঁর কোনো বিয়ে বাড়িতে সেজেগুজে যেতে ইচ্ছে করে না। তাঁর ইচ্ছা শুধু টাকা জমিয়ে পাহাড় বানিয়ে ফেলা। বাড়ি দুটোকে চারতলা, পাঁচতলা, ছয়তলা করা। কিন্তু আজ অনেক দিন পর মনে হয়, গাড়ি চালাতে জানলে কী দারুণ হতো! এখন মহিলার কাছ থেকে চাবি নিয়ে ছুটে যেতেন অনেক দূরে। পৌঁছে যেতেন তরুণী বয়সে। সেখানে তাঁর জন্য কালো সানগ্লাস পরে অপেক্ষা করে আছে এক মগ্ন তরুণ। মনে পড়ল, সে রকম সানগ্লাস পরত বলেই জুয়েলের বাবাকে তাঁর খুব পছন্দ হতো। দিন-রাত সব সময় মানুষটা সানগ্লাস পরে থাকত। অন্যরা খেপাত। তিনি ভালোবাসতেন। সময় অনেক কিছু ভুলিয়ে দেয়। রং করা জীবনকে কুচকুচে কালো করে দেয়। আবার মাঝেমধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় ঠিক জীবন্ত হয়ে আসে স্মৃতিগুলো।