গল্পটির শুরু সদ্য কলেজ পাশ করা এক ছেলেকে নিয়ে। সে যাচ্ছে তার গ্রামের বাড়িতে। সে বুঝতে শিখার পর খুব বেশি বার গ্রামের বাড়িতে যায় নি। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সে এবার এক নতুন সঙ্গী জুটায়, সে হচ্ছে তার দুলাভাই(চাচাতো বোনের স্বামী)। খুব মিশুক ধরনের এই মানুষটির সাথে সে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এমনি একটি দিনের ঘটনা….. তারা সারাদিন সাইকেলে করে ঘুরাঘুরি করার সময় সোহান একটা ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পায়। সেটা হলো একটা খুনের প্রমাণ লোপাট করার দৃশ্য। কয়েক জন লোক মিলে একজনের লাশকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা দেখে সোহানের গা হিম শীতল হয়ে আসে। সে ঘটনাস্থলে যেতে চায়, কিন্তু অজানা একটা কারণে সে সেই জায়গায় যেতে পারে না। পরে সোহান খোজ নিয়ে জানতে পারে সে যেই খুনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছে সেই খুনের ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগেই ঘটেছে, এমনকি যখন খুনটি করা হয় তখন সোহান গ্রামেই ছিলো না। আর একটা কথা লোকেরা বলছে লোকটিকে কেউ খুন করে নি, সে আত্মহত্যা করেছে। সোহান ঘটনার পরিক্রমায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমন সময় গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র, যে চরিত্রটি লেখকের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র, সেই চরিত্রটি সামনে আসে। আলোচিত সেই নারী চরিত্রটি পেশায় একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। মানুষ জটিল মনকে নিয়ে তার ভাবনা। সোহান বুজতে পারে যে, প্রকৃতি পূর্বের একটা ঘটনাকে তার সামনে উপস্থিত করেছে। যাতে লোকটির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সেটা সবার সামনে আসে। সোহান তার ভালো লাগার মানুষ সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে, সোহানের মনে এ ব্যাপারে সংশয় আছে একে কি আদৌ ভালোবাসা বলে, না কি অন্য কিছু? অনুভূতিগুলোর গভীরতা নিরূপণে সে ব্যর্থ।