চোখের সামনে রাষ্ট্র ভালোবাসাহীন, হিংস্রতাই সয়ে গেছে ইতিহাসের পাতা। না বলা কথাগুলোর আর বুঝি অধিকার নেই বলার, সুদিনের গল্পগুলো তো এখন অতীত। বাতাসেও হাহাকার ধ্বনিত হয়, মানুষের চোখগুলো যেন মানুষের নয়, বদলে গেছে তা হায়নার সাথে। বোধগুলো খুবলে খায় শকুনের পাল। বাংলাদেশ; তুমি আর ক্রন্দন করো না ধর্ষিত রমণীর মতো, পেট্রল বোমায় যারা করেছে তোমায় অগ্নিদগ্ধ, তাদের হাতের নিরেট অন্ধকার যারা বসিয়ে দিল তোমার আলোক দিগন্তে তবে তো তোমার বুকে দুঃখের পদ্মা বইবেই, বুকের শুক্লপক্ষ ফুরিয়ে তবে তো কৃষ্ণপক্ষ বইবেই। তোমার বুকের নোনাজল হাতড়িয়ে দেবে কে? গান শুনাবে কি কেউ লালনের মতো? ফসলের হাসি যে কৃষক ঘরে তুলতে পারে না তাকে আর কী করে এনে দেবে দুঃস্বপ্নহীন প্রহরগুলি? ক্ষুধার্ত মুখগুলো দেখে দেখে কী করে শোনাবে জাগরণের হুংকার ধ্বনি? এত বিষাদ এত বেদনায় যদি কারো বুক একটুও না কাঁপে, যদি ফারাক্কার বাঁধভাঙা জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যায় প্রগাঢ় সম্ভাবনা তবে তো দুঃখের কাজলে চোখে জল আসবেই, চিরদিন আস্থাহীনদের হাতের মুঠোয় যদি বন্দি থেকে যাও তবে তো গহীনে কৃষ্ণপক্ষ থাকবেই।