দেখার চোখ সবার আছে। তবে লেখকের চোখ আলাদা। এই চোখ যা দেখে, তার ছবি জীবন্ত হয়ে ধরা দেয় পাঠকের কাছে। পূর্বে পশ্চিমে কখনো তীর্থে কখনো ভ্রমণে এমনই এক জীবন্ত ছবি। জগতকে চিনতে এই ছবিটা খুব দরকারি। এখানে অক্ষর দিয়ে আঁকা আছে প্রকৃতি, সুন্দর আর সংস্কৃতি। মানুষ যা জানতে চায় তার কোনো শেষ নেই। যা দেখতে চায় তার কোনো দেয়াল নেই। মাহমুদা রহমানও অন্য আট-দশজনের মতো মানুষ। তবে তাঁর আছে কৌতুহল। আর অনন্ত ক্ষুধায় কাতর এক মন। খুব সম্ভবত এ কারণেই তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন পূর্ব থেকে পশ্চিমে। কখনো মধ্যপ্রাচ্যে। স্রস্টাকে আকুতি জানাতে গেছেন তীর্থভূমি সৌদি আরবে। এইসব নিয়েই বইটির কলেবর। এর মলাটের নিচে লুকিয়ে আছে ছোট এক পৃথিবী। আশা করছি পাঠকের ভালো লাগবে।