দীপ্ত ও দহন। তাদের প্রেম-ভালোবাসা, মান অভিমানের মধ্য দিয়ে গল্পটি এগিয়ে গেলেও পরবর্তীতে রয়েছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের সমাহার। এখানে তেমন কোনো নেগেটিভ ক্যারেক্টার না থাকলেও ঘূণধরা সমাজ ও মন-মানসিকতার কারণে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল মানুষ করে থাকে। এই ভুলগুলো মানুষকে ক্ষমা করে না। তার খেসারত পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েকেও দিতে হয়। এরই ফলশ্রুতিতে দহনের ন্যায় অনেকেই ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান হিসাবে বড় হয়। ব্রোকেন ফ্যামেলির সন্তানগুলোর কষ্ট বাইরে থেকে বুঝা না গেলেও তারা ভেতরে ভেতরে তারা প্রচণ্ড নিঃসঙ্গতায় ভোগে। কখনো কখনো তারা সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আসলে প্রেম-ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং সৎ চরিত্রের অধীকারী হওয়া সত্বেও স্বামীর কোনো একটা দুর্বল পয়েন্ট নিয়ে স্ত্রীকে কিংবা স্ত্রীর কোনো একটা দুর্বল পয়েন্ট নিয়ে স্বামীকে তৃতীয় পক্ষের অনবরত হেমারিং জীবনকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অথচ তৃতীয় পক্ষ প্রতিনিয়ত এই কাজটি নিজের অজান্তেই অবলীলাক্রমে করে থাকে। সেই সাথে কর্মক্ষেত্রে একজন নারীর নিরাপত্তার বিষয়টি তো আছেই। একটি পরিবারের সবাই পজিটিভ মাইন্ডের হওয়ার সত্বেও ঘূণধরা সমাজের ঘূণেধরা মন মানসিকতার কারণে পরিবারটি এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। এই জায়গাটা থেকে কেন যেন আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি না। তবু আমরা ভালোবাসি। ভালোবাসার ক্ষণগুলোকে হৃদয় গভীরে লোকচক্ষুর অন্তরালে স্বযত্নে লালন করি।