চিৎকার-চেঁচামেচি করে চারদিক থেকে লোকজন জড়ো করেছে লোকটা। এতক্ষণে শারার টের পেল, আসলে পার্ক করে রাখা গাড়িগুলো খালি ছিল না। কমবেশি প্রতিটা গাড়িতেই ড্রাইভার ছিল, কেবল ওর পাশের গাড়িটা বাদে। লোকটার চিৎকারে তারা বের হয়ে এসেছে গাড়ি থেকে। রেস্টুরেন্টের পেছনের দরজা খোলা। সেখানে কিছু কর্মচারী যাওয়া-আসা করছিল। তারাও ছুটে এসেছে। শারারের গাড়িটাকে ঘিরে রীতিমতো জটলা তৈরি হয়েছে।
ভালো লেগেছে।শুভ কামনা।
Read all reviews on the Boitoi app
গল্পটা বেশ ভালোই ছিলো। তবে মনে হিয়েছে কেমন তাড়াতাড়ি শেষ হিয়ে গেল। মনে হিয়েছে আরেকটু লম্বা হলে, আরেকটু গুছিয়ে শেষ করা হলে ভালো লাগতো। গল্পের শেষে হঠাৎ করেই সারার বিয়েটা মেনে নিলো, এটা একটু বেখাপ্পা লেগেছে।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেই একটা উপন্যাস হয়ে যায় না। ওয়েস্ট অফ টাইম এন্ড মানি। 1/5
পছন্দের মিষ্টি একটা গল্প। মাঝে শারারের আচরনে রাগ হলেও শেষের দিকে শারারের পরিবর্তন আর তুবার সরলতা মন ছুঁয়ে গেছে। ❤️
"নীড়" ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের আর কিছু টুকরো টুকরো অতীতের ঘটনা নিয়ে ৩৪ পর্বের গল্প। শুরুতে মনে হয়েছিল দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের গল্প হতে চলেছে কিন্তু লেখিকা আপু যেই টুইস্ট রেখেছেন তাতে কোথাকার পানি কোথায় গড়ায় সেটা বুঝতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকল এর অংশগুলো খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা। কিছু কিছু জিনিস ভীষণ ভালো লেগেছে, যেমন- স্বামী-স্ত্রী এর সম্পর্কে শারারের উপলব্ধি। সাধারণত দেখা যায় বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে যেমন আচরণ করে ছেলেরা তাই শিখে এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করে। অনেকে বলে থাকেন যে, আর তো যাওয়ার কোনো জায়গা নেই তাই যেকোনো পরিস্থিতি স্বামীর সংসারেই থাকতে চান। শারারের মায়ের ক্ষেত্রে কিন্তু সেরকম কিছু ছিল না তারপরও তার নির্বাক থাকা শারারের ভালো লাগেনি। বাবার প্রতিও শারারের ছিল বিরূপ ধারণা। এই পরিবেশে বড় হয়েও যে সে সঠিক উপলব্ধিতা করতে পেরেছে এটা খুব ভালো লেগেছে। অন্যদিকে,অতিরিক্ত শাসন-বারণ ও যে ছেলে মেয়েদের সঠিক পথে পরিচালনা করে তা কিন্তু না। অতিরিক্ত কঠোরতার জন্যে কিন্তু ছেলে-মেয়েরা কথা লুকাতে শুরু করে, মিথ্যা বলতে শুরু করে। তুবার ক্ষেত্রেও তাই মায়ের শাসনের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে মনে হয়েছে সে স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে। তাইতো সন্তানের মঙ্গলের জন্যে এবং তার সাথে সুসম্পর্ক বজায় জন্য যেমন দরকার শাসন ঠিক তেমনি দরকার একটা বন্ধুত্বের হাত যাতে সন্তানের কিছু লুকানো না লাগে। চমৎকার টুইস্ট এর সাথে শেষ হয়েছে। কিছু কিছু অংশে মনে হবে বেশী বর্ণনা আছে কিন্তু আমার মনে হয়েছে তা গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে। একটায় প্রশ্ন শারারের কাছে- বুঝলাম হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে গিয়েছিল। তাই বলে এই আদুরে চঞ্চল মেয়েটাকে মারবে কেনো?? 🤔 সবথেকে সুন্দর লাইন- "ভালোবাসব, তুবা। অনেক বেশী ভালোবাসব। আই প্রমিজ।" ❤️ দিনশেষে সবারই দরকার একটা শান্তির নীড়,যেখানে লুকানোর কিছু নেই। যেখানে থাকবে বিশ্বাস, আস্থা, ভরসা আর একটু ভালোবাসা💚।