একটা সময় ছিল, সে সৌভাগ্যবশত জীবনের সমস্ত উপজীব্যকে হাতের মুঠোয় পেয়েও অপূর্ণ বোধ করত। জীবন কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হতে গিয়েও আটকে ছিল একটা বিন্দুতে, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে যার মান শুন্য। তাই নিজে একশতে একশ হয়েও শুন্যের দাপটে ছিল অসহায়, প্রকারান্তে বিপর্যস্ত। কেননা একশকে শুন্য দিয়ে গুণ করলে কেবলই খালি হাতে ফিরতে হয়। সামান্য শুন্যের জোর এতটাই বেশি, সাফল্য কপালে চুমু খেলেও শুন্যের ভয়াল দাপটে তার জীবনের ঝুড়ি খালি রয়ে গেছে। অনেকটা তলাবিহীন ঝুড়ির মতো দশা! পরবর্তীতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যেতেই এই দাপটকে একহাত দেখে নেয়ার অভিসন্ধি মাথাচাড়া দেয়। আজীবন সুপথে চলা মানুষটি বেছে নেয় বিপথের গলি। ঘটিয়ে ফেলে সর্বসাধারণের দৃষ্টিতে একটি অন্যায়, যা কি না তার চোখে কেবলই বুকের মধ্যে জমে থাকা আগ্নেয়গিরির বহিপ্রকাশ। বিপথের সেই গন্তব্য যখন চোখের সামনে চলে আসে, হাতে ধরা দেয় সাফল্য, তখনও সে বিপর্যস্ত! কেন?
বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। একটি চমৎকার সামাজিক উপন্যাস। পড়ার সময় যেমন আগ্রহ জেগেছে পরবর্তী ঘটনা জানার, তেমনি শিক্ষণীয় বিষয়গুলোও চোখে পড়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে যে একটু বেশি সম্প্রসারিত করা হয়েছে। কিন্তু সবমিলে পুরো উপন্যাসটা মন কেড়েছে। তাইতো একটানা বইটা পড়ে শেষ করলাম।
Read all reviews on the Boitoi app
খুব সুন্দর গল্পটা। নারীদের সাহস দেওয়ার মত গল্প। কত কত অন্যায় আমরা মেয়েরা মুখ বুজে সহ্য করি। অযচ একটু সাহসী হলে হয়তো ভালো থাকার দরজাটা খুঁজে পাওয়া যায়। শুভকামনা রইলো লেখিকার জন্য!