এই গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে প্রধানত ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। অবশ্য রবীন্দ্রনাথ , নজরুল ও শরৎসাহিত্যে প্রথম খণ্ডের আলোচ্য বিষয় ছিল। তাই প্রথম খণ্ড বিংশ শতাব্দীর খানিকটা ছুয়ে এসেছে। দ্বিতীয় খণ্ডের আলোচ্য বিষিয়গুলো বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের ( ১৯৮৭ পর্যন্ত ) বাংলা সাহিত্য। কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে এসেছেন তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ ও মার্কসবাদী মানিক বন্দোপাধ্যায় এবং মার্কসবাদী জীবন শিল্পী শহীদ সোমেন চন্দ। প্রথম নারীবাদী লেখিকা হিসাবে রোকেয়ার রচনাকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন লেখক। দৃষ্টিপাত করেছেন গত শতাব্দীর মর্যাদা দিয়েছেন লেখক। দৃষ্টিপাত করেছেন গত শতাব্দীর তিরিশের দশকের আধুনিক কবিদের প্রতি ( জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী ও বিঞ্চু দে) । সাম্যবাদী কবি হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন দীনেশ দাস, বিঞ্চু দে, সমর মুখার্জী, সুকান্ত ভট্টচার্য, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, গোলাম কুদ্দুসের কাব্যসমগ্রহ। লেখক জসীমউদ্দীনের কাব্যকে স্বতন্ত্র মর্যাদা দিয়ে বিচার করেছেন। এছাড়াও লেখক তুলে ধরেছেন, কবিগান, যাত্রা, গণসঙ্গীতের বিশাল সাহিত্য ভাণ্ডার, যা সাহিত্যের প্রগতির ধারাকে পুষ্ট করেছেন। লেখকের বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অসাধারণ। সহজ বোধগম্য ভাষায় তিনি বিশেষ কালপর্বের বাংলা সাহিত্যের প্রগতির ধারাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন এবং বিশ্লেষণ করেছেন।