"ভোলগা থেকে গঙ্গা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: মানব-সমাজ আজ যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে সেখানে পৌছাতে প্রারম্ভিক সময় থেকে আজ পর্যন্ত বড় বড় সংঘর্ষের ভিতর দিয়ে তাকে আসতে হয়েছে। আমার লেখা ‘মানব-সমাজ’ গ্রন্থে মানব-সমাজ প্রগতি সংক্রান্ত বিশ্লেষণাত্মক সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করেছি। বিষয়টি সহজভাবেও লেখা যায় যাতে প্রগতির ধারা অনায়াসেই বুঝে নেওয়া সম্ভব। সেই কারণেই ‘ভােলগা থেকে গঙ্গা’ রচনায় প্রবৃত্ত হয়েছি। ভারতীয় পাঠকদের সুবিধার জন্য আলােচ্য গ্রন্থে ইন্দো-ইউরােপীয় জাতিগােষ্ঠীকে বেছে নিয়েছি। মিশরীয়, সিরিয়ানী বা সিন্ধুজাতির বিকাশ ইন্দো-ইউরােপীয় জাতির সহস্রাধিক বছর আগে ঘটে গেছে। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে লেখক-পাঠক উভয়েরই বিস্তর ঝামেলা। প্রত্যেক যুগের একটি করে প্রামাণিক দলিল চিত্রণে প্রয়াসী হয়েছি। তবে প্রাথমিক প্রচেষ্টায় ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যাওয়া স্বাভাবিক। যদি আমার প্রয়াস আগামী দিনের লেখকের ক্রটিহীন রচনার সহায়ক হয় তবে নিজেকে সার্থক মনে করব। রাহুল সাংকৃত্যায়ন সেন্ট্রাল জেল, হাজারীবাগ ২৩-০৩-১৯৪২