অনুরোধে ঢেঁকি গেলা। বই-পত্রিকার সম্পাদক এবং ঔপন্যাসিক সরদার জয়ের উদ্দীন বছর সাতেক আগে একবার লেখা দেওয়ার জন্যে পীড়াপীড়ি করেন। অনুরোধ রক্ষা শেষে কাল হয়ে দাঁড়ায়। নিস্তার মেলেনি। ধারাবাহিকভাবে বই-পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধরাজিই বর্তমান পুস্তক। কেবল শেষ পরিচ্ছদে নয় সংযোজন। ভাষা সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার কৌতুহল ডাহা আনাড়ীর এবং একজন লেখকের। তার বেশি কিছু না। এই বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ভুক্ত যোগ্য কৌতুহলীর আবির্ভাব ঘটুক, এই সদিচ্ছা পিছনে থাকার ফলেই পুস্তক প্রকাশনায় স্নেহাস্পদ সরদারের বহুদিন-কার দোসরা অনুরোধ আমি ঠেলে রাখতে সক্ষম হয়নি। পাঠকের কাছে তা জানতে আমি নিতান্তভাবেই নিঃসঙ্কোচ। পাকিস্তান আমলে লেখা বই। পরাধীনতাপ্রসূত বুটের লাথির দাগের মত কিছু উপমা রয়ে গেল। তা আর বদলাইন। ইতিহাস কী মুছে ফেলা যায়? স্নেহভাজন কবি হাবীবুর রহমান স্বতঃপ্রণোদিত হৃদতার মুদ্রণ সংক্রান্ত ঝামেলা ঘাড় পেতে নিয়েছিলেন। এক কথায়, প্রকাশনার ক্ষেত্রে তিনিই মেল-নার্স। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্যে তাঁকে ধন্যবাদ দিতে পারতাম না। বর্তমানে জাপান-প্রবাসী বলে নয়, ঠিক একই কারণে, পুস্তক-প্রকাশের অন্যতম উদ্যোগী শুভাকাঙ্ক্ষী কবি কায়সুল হকও বাদ রয়ে গেলেন।