সাহিত্যকে বলা হয় জীবনের প্রতিচ্ছবি। আর ইতিহাস হচ্ছে কাল ও জাতির দর্পণ। এ দর্পণে দৃশ্যমান বিভিন্ন সময়ের ঘটনা বিশ্লেষণ করে জাতি তার আত্মপরিচয়ের সৌভাগ্য লাভের পাশাপাশি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার পাথেয় যােগাড় করতে পারে। সাহিত্যের একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে উপন্যাস। সাহিত্যের এ বৃহত্তর ক্যানভাসে কাল ও জীবনের ছবি ওঠে আসে অনেক বেশি জীবন্ত হয়ে। এক্ষেত্রে সামাজিক উপন্যাস যেমন পাঠককে সমাজ-সচেতন করে তােলে, তেমনি ঐতিহাসিক উপন্যাস পাঠককে করে তােলে ইতিহাস সচেতন। আর ইতিহাস-সচেতন মানুষই কেবল বদলে দিতে পারে অশান্ত ও পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত পৃথিবীর চেহারা। অতীত কাল, ঘটনাপ্রবাহ ও জীবন নিয়ে রচিত হয় বলে ঐতিহাসিক উপন্যাস পাঠকের সামনে ইতিহাসকে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত করে তােলার পাশাপাশি পাঠক-মনে সৃষ্টি করে জীবনদায়িনী প্রেরণা।
নসিম হিজাজির চমৎকার একটি উপন্যাস পড়লাম। অনুবাদকের মুখবন্ধে ভেবেছিলাম, দারুণ এক অনুবাদ পেতে যাচ্ছি। কিন্তু প্রচুর বানান ভুল আর টাইপিং মিস্টেকে পড়া বারবার ব্যাহত হচ্ছিল। শুধুমাত্র উপন্যাসের কাহিনিই আমাকে আটকে রেখেছিল। অনুবাদক ও বইটইকে এই বিষয়ে আরও মনোযোগ দিতে অনুরোধ করব।
Read all reviews on the Boitoi app