প্রকাশের পর থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া উপন্যাসটি টাইম ম্যাগাজিন নির্বাচিত সর্বকালের সেরা ১০০ উপন্যাসের তালিকার একটি। ২০০৫ সালে এটিকে বিগত পঞ্চাশ বছরের সেরা ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে আখ্যা দিয়ে ‘ড্যাগার অফ দ্য ড্যাগারস’ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। স্নায়ু যুদ্ধের সময় তখন... আচমকা-ই পূর্ব জার্মানির সরকারী লোকজনের ভিতর লুকিয়ে থাকা ব্রিটিশ এজেন্টদের খুঁজে খুঁজে খুন করা হতে লাগলো। ওখানকার ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অ্যালেক লিমাসের চোখের সামনেই তার সর্বশেষ আর সবচেয়ে বিশ্বস্ত এজেন্ট কার্ল রিয়েমেক গুলি খেয়ে মারা পড়লো। ত্যক্ত-বিরক্ত-হতাশ লিমাস সিদ্ধান্ত নিলো যে সার্ভিস ছেড়ে দেবে। উপরওয়ালারাও তাকে ছেড়ে দিতে সম্মত হলো, কিন্তু একটা শর্তে। যাওয়ার আগে সর্বশেষ আর একটা মিশন- আচমকা এইসব ঘটনার কারণ উদঘাটন করতে হবে, সেই সাথে উচিত শিক্ষা দিতে হবে ইস্ট জার্মানি কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-এর চীফ মুন্ডটকে। কাজের স্বার্থে দেশদ্রোহী সাজলো লিমাস- যোগ দিলো পূর্ব জার্মানির পক্ষে। সাথে আছে তার পাঁড় কমিউনিস্ট গার্লফ্রেন্ড। কিন্তু একের পর এক পরস্পরবিরোধী তথ্য প্রমাণে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হলো তার। নিজের ছায়াকেও যেনো বিশ্বাস করা দায়! দীর্ঘ পেশাগত জীবনে, লিমাস এরচেয়ে বেশি জটিল আর কিছুতে আটকা পড়েনি কখনো। কিন্তু প্যাঁচ খুলতে যেতেই নিজের অস্তিত্ব- নিজের পরিচয়ের ভিত্তিটা ধরে নাড়া খেয়ে গেলো তার। খামখেয়ালিতে ফাঁস হয়ে গেলো পরিচয়... ব্যাপারটা কি শাপে বর নাকি বরে শাপ হয়ে এলো তার জন্যে?
উপন্যাস টা পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে। শুরুতে এতো গুলো নাম দেখে ভয় পেয়েছিলাম। চরিত্র গুলো ঠিকভাবে মনে রাখতে পারবো কিনা এই ভেবে।তাই প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা ২ বার করে পড়েছি যাতে অন্তত মুল চরিত্র গুলো মনে রাখতে পারি। যদিও "স্ল্যাক"-কে স্ন্যাক, " "লেসট্রেঞ্জ"-কে লেস-স্ট্রেঞ্জ পড়া সহ আনকমন নামগুলো পড়তে বেগ পেতে হয়েছে। বই-টই বয়কট করেছি। নতুন করে আর কোনো বই কিনবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের বাজে সার্ভিসের কারণে। আনকমন কোনো সমস্যা নিয়ে হাজির হলে তারা যোগাযোগ রাখে না। বানান সমস্যা মাত্রাহীন হওয়ার পরেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছে না। এটা নাকি তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এখন বই কিনে যদি আরামে পড়তেই না পারি বিরক্তিতে ফেলে রাখতে তাহলে তো বই কিনে লাভ নেই। তবে এই বইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। বানান সমস্যা না থাকায় খুব সহজেই পড়তে পেরেছি। না হয় আগা-মাথা কিছুই বুঝতাম না। তবে বৃত্তান্তের সাথে বইয়ের কন্টেন্ট-এ কোনো মিল পেলাম না। ঠিক বুঝলাম না ঘটনা টা। কাল্পনিক গল্পে টুইস্টের পর টুইস্ট থাকবে একটার পর একটা অস্বাভাবিক ঘটনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। রেমন্ড আগে থেকেই চিনত ডক্টর স্টোনকে। যেহেতু নাম করা লোক চিনতেই পারে কিন্তু কাকতালীয় ভাবে শেষ মূহুর্তে তাদের সাক্ষাৎ। ডাক্টার হেইডক-এর পুরোনো বন্ধু লেসট্রেঞ্জ৷ সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার গ্রিসেল্ডার পুরোনো প্রেমিকের ওই গ্রামে হাজির হওয়া ইত্যাদি। নিজের ব্রেইনের কোনো ব্যবহারই এই উপন্যাসে করা সম্ভব হয়নি। কারণ শেষ পর্যন্ত কাউকে সন্দেহ করার মতো যথেষ্ট ক্লু পাইনি। মিস মার্পলের দয়া। উনি এতো সহজ করে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন। ঘৃণা করার মতো একটায় চরিত্র "গ্রিসেল্ডা"। উপভোগ যেহেতু করেছি তাই ৫/৫ দিলাম।
Read all reviews on the Boitoi app