১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসন দেওয়া হল রেঙ্গুনে। মোগল শাহজাদাদের অনেককে হত্যা করা হয়। রাজ পরিবারের অন্য সদস্যরা লালকেল্লা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অজানা গন্তব্যে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার কেউ নেই। পিছু তাড়া করছে ইংরেজ গোয়েন্দারা। পদে পদে বিপদের হাতছানি। তখত ইয়া তাজে’র উত্তরাধিকারীরা সেদিন ছিল বড় অসহায়। বিখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক খাজা হাসান নিজামি জন্মেছিলেন দিল্লিতে। বিদ্রোহের মাত্র কয়েক বছর পরে। তাঁর শৈশব ও তারুণ্যের দিনগুলোতে তিনি ভাগ্যবিড়ম্বিত মোগলদের অনেকের দেখা পেয়েছিলেন। তাদের কাছে শুনেছেন তাদের জীবনের গল্প। সেসব নিয়ে লিখেছেন তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ ‘বেগমাত কে আঁসু’। মোগল পরিবারের শেষদিনগুলি মূলবইয়ের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ।
বইটা এখন মোঘল পরিবারের শেষদিনগুলি নামে ছেপে এসেছে। সুন্দর একটা বই। অনুবাদও ভালো।
Read all reviews on the Boitoi app
মোগল সাম্রাজ্যের পতনের ইতিহাসের করুণ বয়ান। চোখে পানি ধরে রাখা কঠিন। ইবরত হাসিলের জন্য উত্তম পাথেয়।
এর আগে একই বইয়ের অনূদিত একটা পড়েছিলাম। তবে এটাকে আরও নতুন নতুন তথ্যে সমৃদ্ধ পেলাম। অনেক অজানা কাহিনী জানা গেল, বিশেষ করে রাজ পরিবারের বিপন্ন মহিলাগণের করুণ ইতিহাস। অনুবাদককে ধন্যবাদ; অনালোচিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে হাত দেওয়ায় এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ায়ায়।