এ জগতে শুধু মুটে-মজুরেরাই পরিশ্রম করবে-এ হতে পারে না। দৈনিক আহার-সংস্থানের জন্য তাদেরকে পরিশ্রম করা দরকার হয় বটে; কিন্তু বড় যারা তাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে। পয়সা-কড়ির অভাব নাই, নিজের অর্জিত ধন-সম্পত্তিতে দিন বেশ চলে যাচ্ছে, সুতরাং কোনো কাজ করবার দরকার নাই,-এমন কথা বলবার তোমার কোনো অধিকার নাই। এই যে ধন-সম্পত্তি, যা তুমি ভোগ করছ; এগুলি সংগ্রহ করতে তোমার পিতাকে কতখানি পরিশ্রম করতে হয়েছিল, তা কী তুমি একটুও ভাব না? রাজা হও, নবাব হও, নিজের জন্য না হোক তোমার পাড়া-প্রতিবেশীর জন্য তোমাকে কাজ করতে হবে। কাজ না করে, এই দীর্ঘ জীবনটা কী করে কাটিয়ে দেওয়া যায়? আলাপ, রহস্য, হাসিঠাট্টা, খেলাধূলায় অনুরক্ত ব্যক্তিরা অফুরন্ত আনন্দ লাভ করতে পারে, কিন্তু কেমন করে এই সব লক্ষ্যহীন তরুলতার মধ্যে তোমার মহিমান্বিত জীবনকে ডুবিয়ে রাখতে পার? তোমার কাজ আছে, বড় লোকদের সঙ্গে দেখা করে, হেসে, গান করে তুমি তোমার জীবনকে ব্যর্থ করে দিতে পার না!