নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে তখন আনন্দ আর উচ্ছাসের জলতরঙ্গের জয়ধ্বনি। নতুনের কেতন উড়ার অপেক্ষা। নির্যাতন আর নিষ্পেষণের ও বৈষ্যমের বিরুদ্ধে স্বাধীকারের স্বপক্ষে আমরা বাঙ্গালি জাতি ছয়দফার প্রতি নিরঙ্কুশ ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছি। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক প্রধান পদে বাঙ্গালির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যান্ডেট বাঙ্গালির বঞ্চনার অতীত মুছে যাওয়ার শুভ সুচনার পদক্ষেপ যেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তখন পাকিস্থানের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের নেতা। পূর্ব পাকিস্তানের ৭৪.৬% ভোট বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এর পক্ষে পড়েছিলো। পুরো পাকিস্তানের ৩৮.৩% ভোট আওয়ামী লীগ, ১৯.৫% পিপলস পার্টি পেয়েছিল। কিছু দিনের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেল শাসন ক্ষমতায় পশ্চিম পাকিস্তান বাঙ্গালির নেতৃত্ব মেনে নিবে না। তারা পূর্ববাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিরুদ্ধে নিরাপত্তার উসিলায় রাজনৈতিকভাবে কথা বলতে শুরু করে। আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। বাঙ্গালিরা আতঙ্কিত। ইয়াহিয়া খান ঘোষিত আইনগত কাঠামো আদেশে(লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক ওর্ডার) ১২০ দিনের মধ্যে সংবিধান প্রনয়নের সময়সীমা নির্ধারন করে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এ সময়কে যথেষ্ট মনে করে। দাবি জানান হয় নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনার সুবিধার্থে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের।