কথাটা খুব সুন্দর করে বললেন মনজু ভাই। সঙ্গে সেই স্নিগ্ধ হাসি। এমন কথা শুনে, এই হাসি দেখে যে কোনও যুবতী মেয়ের খুশি হওয়ার কথা। অন্য সময় হলে আমিও হতাম। এখন হলাম না। কী করে হব! আমার ভেতর তো আসলে আমি এখন আর নেই। আমি এখন অন্য আমি। প্রচণ্ড অস্থির, দিশাহারা একজন মানুষ। একদিনে এতবড় দুটো ঘটনার চাপে মাথাটা আমার এলোমেলো হয়ে গেছে। কাল সকালের মধ্যে যেমন করে হোক দুলাভাইকে জানাতে হবে মামুনের ব্যাপারটা। জাহিদদের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের বাড়িতে যেন কিছুতেই তিনি না আসেন। মনজু ভাইকে দিয়েই করাতে হবে কাজটা। কী আশ্চর্য ব্যাপার! যাকে দিয়ে কাজটা করাব তার সঙ্গেই রাগ করছি। সুন্দর করে কথা বলছি না। তার কিসের ঠেকা আমার কাছে ? কোনও স্বার্থও নেই। আমার বাজে ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে কাজটা যদি সে না করে ? এসব আমি ভাবছিই না। মনজু ভাই তখন তীক্ষ্নচোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি তাকাতেই বললেন, কী হয়েছে তোমার ? মনে হয় কোনও ব্যাপারে খুব টেনশানে আছ ?