ফলের নামে আমাদের দেশে যে কতো গ্রামের নাম রয়েছে, তার সংখ্যা মনে হয় কারো জানা নেই। আমার জানা রয়েছে চারটি গ্রামের নাম। তার প্রতিটি গ্রামের সঙ্গেই রয়েছে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক। আমার দুই ফুপুজ্জ স্বর্ণা আর রত্না। স্বর্ণা ফুপুর বিয়ে হয়েছে যে গ্রামে সেই গ্রামের নাম আমতলি। রত্না ফুপুর বিয়ে হয়েছে কাঁঠালতলিতে। কাকতালীয়ভাবে আমার বাবাও বিয়ে করেছেন এমন একটি ফলের নামের গ্রামেজ্জ সে গ্রামের নাম জামতলি। আর আমাদের গ্রামের নাম নিমতলি। এই নিমতলি নামটা নিয়ে মামারা সব সময় বাবার সঙ্গে দুষ্টুমি করেন। বলেন, আমাদের জামতলির মিষ্টি বোনটিকে নিমতলির তেতো ছেলের হাতে তুলে দিয়েছি। আমাদের গ্রামকে তেতো বলায় আমার খুব রাগ হয় কিন্তু বাবার রাগ হয় না। মামাদের কথা শুনে বাবা শুধু মিটিমিটি হাসেন। তো সেই নিমতলিতে বেড়াতে এসেছি। সেন্টু মামা খবর পেয়ে আমাকে মামাবাড়িতে নিয়ে এসেছেন। এখানে আনন্দেই কাটছে আমার দিন। মামাদের পুকুরপাড়ে একটা কাঠবাদাম গাছ আছে। সেই গাছে উঠে বাদাম পাড়ার চেষ্টা করছি, এমন সময় শুনতে পেলাম ডাকটাজ্জ নয়ন!