আমেরিকা ফিরে যাবার সাতদিনের মাঝে রাদ ওখানে নিজ যোগ্যতায় সরকারি চাকরি পেয়ে যায়। এমন খুশির সংবাদ বাড়িতে সবাইকে কল করে জানালেও মৌপ্রিয়াকে আর কল করেনি। কিছুদিন যেতেই বাসা থেকে জানায় ওকে, মৌপ্রিয়া বাবার বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছে। তারা অনুমতি দেবে কি না ওকে জিজ্ঞাসা করে। ও জানতই এমনটা হবে। দুশ্চিন্তায় ঘাম ঝড়ে যায় ওর এই ভেবে, সম্পর্কটা আর বোধ হয় টিকবে না মৌপ্রিয়া বাবার বাড়ি গেলে। এ বিষয়ে কাউকেই কিছু বলতে পারে না ও। মৌপ্রিয়া বিরক্ত হয়ে যায় এতে। তা দেখে রাদের মা আমেনা আবার জিজ্ঞাসা করেন ছেলেকে, মৌপ্রিয়া যাবে কি যাবে না? অনেক ভেবেচিন্তে রাদ অনুমতি দিয়ে দেয়। মনটাকে অত্যধিক কঠিন করে নিয়েছে ও গত পনেরোদিনে। জিদের বশে বয়সে খুব কম মেয়েকে বিয়ে করাটা তারই বোকামি আর মস্ত বড়ো ভুল ছিল। এই যুগের ক'টা মেয়ে এমন বিশাল বয়সের ব্যবধান রেখে বিয়ে করতে চায়? যতই সে ভালোবাসুক মৌপ্রিয়াকে, যত্ন নিক ওর। ওদের দু'জনের চিন্তাভাবনা না কোনোদিন এক হবে, আর না দু'জনের মাঝে ভালো বোঝাপড়াটা কখনও হবে। আজ মৌপ্রিয়ার জায়গায় প্রাপ্ত বয়স্ক ও মনস্ক কোনো মেয়ে বউ হলে বাস্তব বুঝটা ঠিকই বুঝত৷ সে যতই প্রাক্তন প্রেমিক থাকুক। এই বুঝটা মৌপ্রিয়ার মাঝে এখন কোনোভাবেই আশা করা যায় না। তবে মানুষ যে বলে, ভালোবাসা দিয়ে না কি পাথরের বুকেও ফুল ফোঁটানো যায়? এমন উপমা কেন দেওয়া হয়? ভালোবেসে সব জয় করা যায় বলেই তো এই সাদৃশ্য করা হয়েছে। তাহলে ওই পিচ্চি মেয়েটা কি এতটাই অবুঝ, অপরিণত আর কঠোর? যে ওর ভালোবাসাটা সে অনুভবই করল না। প্রচণ্ড অভিমান আর ক্ষোভ জন্ম নিলো রাদের মনে। সে আশা ছেড়েই দিলো মৌপ্রিয়াকে পাওয়ার।
এই মৌপ্রিয়ার ওপর মাঝে মাঝে এত রাগ লাগছে আর রাদ এর জন্য কষ্টই লাগছে। তবে সবমিলিয়ে গল্পটা সুন্দর 💙
Read all reviews on the Boitoi app
প্রথম থেকে গল্প টা ভালো ই লেগেছে..কিন্তু শেষে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়াতে এন্ডিং টা ভালো লাগে নি..আরেকটু বড় হলে পারত..
গল্পের প্লট খুব সুন্দর।বর্ননাও চমৎকার। আফসোস শুধু এটুকুই এই গল্পটা আরো বড় হলোনা কেন? মনে হলো ঝড়ের গতিতে শেষ হয়ে গেল গল্পটা।শেষটা একটু সুন্দর হতে পারতো! গল্পের একটা চরিত্রের কথা না বললেই নয়। আফিয়া! আমার মনে হয় এই আফিয়ার দুই লাইন বেশি বোঝার কারণেই শেষেদিকে রাদ আর মৌপ্রিয়ার মধ্যে এতটা ঝামেলা হয়। আমার মনে হয়েছে, যদি আফিয়া নাক না গলাতো তাহলে রাদ মৌপ্রিয়ার সাথে এতটা রূঢ় ব্যাবহার করতোনা।আফিয়ার রাদকে মৌপ্রিয়াকে নিয়ে বলা কথাগুলো একটু বেশিই কঠোর মনে হয়েছে আমার কাছে। প্রথমে যখন আফিয়া রাদকে মৌপ্রিয়া সম্পর্কে বলছিল, সেই বর্ননাগুলো পড়ে মনে হয়েছিল আফিয়া বোধহয় রাদকে পছন্দ করে বা মৌপ্রিয়াকে কোনো কারণে সহ্য করতে পারছেনা আফিয়া।যাইহোক পরের পর্বগুলো পড়ে আমার সে ধারণা ভুল হলো।মৌপ্রিয়া মৌপ্রিয়ার জায়গায় ঠিক ছিল। সে যা করেছে সরল মনে করেছে যা আফিয়া বা রাদ বুঝেনি।প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা যে ভুল ছিল সেটা আগে না বুঝলেও সরল মনের মৌপ্রিয়া পরে বুঝতে পারে।মৌপ্রিয়াকে আমার খুব ভালো লেগেছে।আর রাদের উপর শেষটায় অনেক রাগ হয়েছে। ভাবির কথায় প্রভাবিত হয়ে শেষে মৌপ্রিয়ার সাথে এমন না করলেও পারতো!মৌপ্রিয়ার দিকটা শোনার উচিত ছিল ওর। যাইহোক এই গল্পের দ্বিতীয় খন্ড চাই। আমার খুব ভালো লেগেছে গল্পটা।
সাদামাটা প্লট এর গল্পটা ভালোই। কিন্তু লেখিকার পূর্ব লিখিত গল্পগুলোর যেই মান সেই মান এই গল্পটাতে ছিলো না। শেষাংশ এলোমেলো লেগেছে। পি.আর : ৩/৫
সত্যি বলতে সবার মত আমার কাছে গল্পটা তেমন একটা ভালো লাগেনি।বেশ কিছু জায়গায় টাইপিং মিস্টেক ছিলো। একদম সাধারণ একটা গল্পের প্লট মনে হয়েছে। শেষটা অসম্পূর্ণ লেগেছে।আরো গোছানো হবে আশা করেছিলাম। যে এক্সপেক্টশন নিয়ে গল্পটা শুরু করেছিলাম সেটা পূরণ হয়নি। এমনিতে আপু ভালো লিখে,কিন্তু এই গল্পটা সেই তুলনায় সাদামাটা লেগেছে। যাই হোক শুভ কামনা রইলো আপুর জন্য।
মৌপ্রিয়া ইসরাত জাহান দ্যুতি জনরা:সামাজিক ও রোমান্টিক বইটই অ্যাপ মূল্য:৪০৳ মৌপ্রিয়া গল্পটি আগে বিষন্ন প্রাতে নামক অণুগল্প হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে ই-বুক এ মৌপ্রিয়া নামে বড়গল্প হিসেবে প্রকাশিত হয়। দ্যুতি আপুর লেখা আমার বরাবরই খুব পছন্দের তালিকায় পড়ে। বহু ঝুট ঝামেলা শেষ করে অবশেষে মৌপ্রিয়া গল্পটি পড়লাম। নামকরণ: ভীষণ মিষ্টি একটা নাম মৌপ্রিয়া। গল্পের নাম যখন প্রকাশিত হয়,তখন মনে হয়েছিল 'বিষন্ন প্রাতে' থেকে হঠাৎ গল্পের নাম 'মৌপ্রিয়া' রাখার কারণ কি? গল্পটি পড়ার পর মনে হলো এই নামটাই যথাযথ নির্বাচন করেছেন আপু। প্রচ্ছদ বিশ্লেষণ: আমি খুব সুন্দর প্রচ্ছদ বিশ্লেষণ করতে পারি না। তবে ছোট করে বলতে গেলে বলবো, প্রচ্ছদ দেখে এটাই মনে হলো যেন একজন পুরুষ খুবই অধীর আগ্রহে তার খুব কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুর অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। যেহেতু গল্পের নাম মৌপ্রিয়া, তাই সেই কাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু একজন নারীই হবে। কাহিনি সংক্ষেপ: মৌপ্রিয়া হলো একজন অষ্টাদশী কিশোরী। যার প্রেম আছে তারই সমবয়সী এক ছেলের সাথে। তাই মৌপ্রিয়ার পরিবার তাকে বিয়ে দিতে উঠে পরে লাগে। একজন কিশোরীর পক্ষে যতভাবে সম্ভব বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার ঠিক সবটাই অবলম্বন করে মৌপ্রিয়া ও তার প্রেমিক শোভন। কিন্তু শেষে পরিস্থিতির কাছে হার মেনে মৌপ্রিয়ার সাথে বিয়ে হয় তার ১৩ বছরের বড়ো এক পুরুষের সাথে। কিন্তু মনে একজন,সংসার করতে হবে আরেকজনের সাথে। এভাবেও কি সংসার হয়? কি হবে এদের সংসারের পরিণতি? পাঠ প্রতিক্রিয়া: গল্পটির প্লট খুবই সাধারণ। কিন্তু সাধারণ গল্পটি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিছু মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও এই গল্পে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি চরিত্র তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। বয়ঃসন্ধিতেক্ষণের সময়টা একটু অদ্ভুতই থাকে। কতো কতো অ্যাডভেঞ্চার করার ইচ্ছে জাগে। প্রেম নামক এক অনুভূতি খুবই সন্তর্পণে মনের কুঠুরিতে জেগে ওঠে। মৌপ্রিয়া চরিত্রটিও একটু এমন। তার অবুঝপনা,তার প্রেমকে টিকিয়ে রাখতে সবধরনের পন্থা,বিয়ের পর তার অবস্থা সবকিছুই ভালোভাবে উপভোগ করেছি। তবে হ্যা ওর নেওয়া স্টেপ টা তে একটু বিরক্তি এসেছে। ভেবেছিলাম একরকম,হয়ে গেল আরেকরকম। তবে ওর বয়সের দিকরা যদি একটু খেয়াল হয়,তবে বলা যায়,ওর এমন স্টেপ নেওয়ার অবিশ্বাস্য কিছুই না। তবে রাদের ধৈর্যের তারিফ করতে হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে হাসবেন্ডরা একটু অন্যরকম হয়। ছোটভাবে হলেও তার মনস্তাত্ত্বিক দিকটা খুব দারুণভাবে আপু ফুটিয়ে তুলেছে। শোভনের ম্যাচুরিটি বেশ লেগেছে। পুরো গল্পটির মধ্যে এমনভাবে ডুবে ছিলাম কখন শেষ হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। একটানা গল্পটি পড়ে একটুও বিরক্ত আসেনি। এছাড়াও শব্দচয়নও বেশ সাবলীল ও সুন্দর। পড়তে একটুও কষ্ট হয়নি। এই গল্পটি যেভাবে সমাপ্তি ঘটেছে ওটাও আমার কাছে একপ্রকার ভালো এন্ডিং-ই লেগেছে। তারপরেও আমরা পাঠক মানুষ। একটু লোভী বটে।তাই আরেকটু পর্ব আশা করি। সমালোচনা: কোনো কিছুই ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। তাই কিছু ভুলত্রুটি চোখে পড়েছে। কয়েক জায়গায় একটু টাইপিং মিস্টেক ছিল তবে তাগল্প পড়তে কোনো বাঁধা সৃষ্টি করেনি। কিন্তু কিছু জায়গায় ল্যুপহোল ছিল। বিশেষ করে শোভনের ব্যবহারে। এছাড়াও রাদের ভাবি চরিত্রটাও যেভাবে উপস্থাপন করেছেন সে হিসেবে আশা করেছিলাম একটু অন্যরকমভাবে বিষয়গুলো হেন্ডেল করবেন। এছাড়াও গল্পের রিপিটেশন তো ছিলই। তবে এই দিকটা আগে আপু বলে দেওয়াতে তেমন একটা অসুবিধা হয়নি। রেটিং হিসেবে আমি ৪.৫/৫ দিবো। অনেকদিন পর রিভিউ লিখছি।ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
‘মৌপ্রিয়া’ ইসরাত জাহান দ্যুতি পাঠপ্রতিক্রিয়া— ‘মৌপ্রিয়া’ নামটা পড়লেই কেমন আবেগ কাজ করে। যেন আবেগ মিশেলে একটা নাম। আমি মূলত প্রথমে নামটা দেখেই আকর্ষিত হয়েছিলাম। উপন্যাসের গল্পটা একেবারে সাধারণ কিন্তু এই সাধারণ প্লট’টি অসাধারণ করে তুলেছে লেখিকার প্রকাশভঙ্গি, লিখনশৈলীর কারণে। ‘বিয়ে’ আমাদের কাছে জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর এই ‘বিয়ে’-কে কেন্দ্র করেই ’মৌপ্রিয়া’ গল্পটা এগিয়ে চলে। মৌপ্রিয়া আর রাদের বিয়ে এরপর তাদের একসাথে এগিয়ে যাওয়া। শুনতে হয়তো সাধারণ লাগতে পারে কিন্তু গল্পটা পড়লেই বুঝা যায় ‘আমরা যা ভাবি কখনো তা হয় না।’ উপন্যাস’টি পড়ে খারাপ কোনো অনুভূতি হয়নি মনে হয়েছিলো, কেন এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো? রাদ আর মৌপ্রিয়াকে যদি আরেকটু পড়তে পারতাম! খুউব খুউব আগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় খন্ড পড়বার জন্য অপেক্ষা করছি। সবশেষে, ‘মৌপ্রিয়া’ পড়ে সময়টা ভালো কেটেছে।
এক কথায় অসাধারণ একটা গল্প। আমার বরাবরই দু্্যতি আপুর গল্প অনেক ভালো লাগে।ওনার লেখার হাত অনেক ভালো মায্যনীয়। রাদ আর মৌপিয়া আমার বতমান প্রেক্ষাগৃহ কে তুলে ধরা হয়েছে। রাদের সম্পকের্ সম্মান ভালোবাসা কেয়ারিং অসাধারণ লেখায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অপেক্ষায় আছি পরবর্তী অংশ পড়ার জন্য। ভালোবাসা দু্্যতি আপু
অসম্ভব ভালো লেগেছে মৌপ্রিয়া তবে আরেকটু বড় হতে পারতো... ভালোবাসা দ্যুতি আপুর জন্য❤️❤️
ই-বুক: মৌপ্রিয়া অথোর: ইসরাত জাহান দ্যুতি জনরা: সামাজিক ও রোম্যান্টিক বড়গল্প মূল্য: ৪০ টাকা 🔴 কাহিনী বিশ্লেষণ : গল্পের নামকরণ করা হয়েছে প্রধান নারী চরিত্র মৌপ্রিয়ার নামেই। মৌপ্রিয়া ও শোভনের প্রেমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় উভয়ের পরিবার ৷ সমবয়সী যুগলবন্দীটি সবকিছুকে পেরিয়ে বেপরোয়া। মৌপ্রিয়াকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে একের পর এক বিয়ে ভেঙে দেয় তারা দুইজন। কিন্তু মৌপ্রিয়া শেষমেশ পরাজিত হয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য হয় ১৩ বছরের বড় এক অচেনা পুরুষ রাদের সাথে৷ মৌপ্রিয়া ও রাদের বিবাহিত জীবনের অপ্রেমের দিনগুলোকে ছাপিয়ে প্রেম কী আদৌ আসে? মনের সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে পাঠককে পড়তে হবে মৌপ্রিয়া ই-বুক টি। 🔴 চরিত্র কথন : ৭৮ পৃষ্ঠার ছোট্ট ই-বুক এ প্রধান দুটি চরিত্র মৌপ্রিয়া ও রাদকে ঘিরেই কাহিনী এগিয়ে গেছে। মৌপ্রিয়া~ ভীষণ জেদি, একরোখা কিশোরী হিসেবে গল্পের শুরুতে তার অবস্থান থাকলেও পরবর্তীতে তা রূপ নিয়েছে একটুখানি ভালোবাসা পাওয়ার তৃষ্ণায় কাতর নারীতে। রাদ~ পুরো গল্পে আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র রাদ। রাদ একজন দায়িত্বশীল ও পরিণত স্বামী। অষ্টাদশী কন্যার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাকে নিজের করে নেওয়া, তার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য জোরজবরদস্তির বদলে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন - এ সকলকিছু পাঠক মনে মুগ্ধতা ছড়াতে যথেষ্ট। আফিয়া~ বাস্তবে দাম্পত্য জীবনে আফিয়ার মতো এমন হাজারো তৃতীয় ব্যক্তি থাকে যারা দম্পত্তির সম্পর্কে ফাটল ধরাতে সিদ্ধহস্ত। আফিয়া রাদ এবং মৌপ্রিয়ার ভালো চাইতে গিয়ে অতি চিন্তার প্রকাশ ঘটায় যা হিতে বিপরীত হয়েছে। তবে আমার দর্শন বলে, বিবাহিত সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যর্থ ও অন্যের কথায় প্রভাবিত রাদ এক্ষেত্রে অনেকাংশ দায়ী। 🔴 প্রিয় উক্তি : ভালোবাসার বদলে ভালোবাসা আর যত্নের বদলে যত্ন। কিন্তু তুমি তাকে দিয়েছ তার ভালোবাসা, যত্ন, বন্ধুত্বের বদলে অবজ্ঞা, অবহেলা। ফিরতি অবহেলা যে এবার তোমারও প্রাপ্য। 🔴 ত্রুটি : নবম পর্বের পর চৌদ্দ পর্বের ৭৬ পৃষ্ঠা অবধি আগের লেখাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। যা খুব দ্রুত সংশোধন করা জরুরি বলে মনে করি। এছাড়া গোটা কতেক টাইপিং মিস্টেক ছিল যা প্রথম ই-বুক হিসেবে খুব একটা গণনীয় ত্রুটি নয়৷ 🔴 অনুভূতি কথন : মৌপ্রিয়া গল্পটি যৌথ সংকলন “নক্ষত্রকুঞ্জ” এ ‘বিষন্ন প্রাতে' নামে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এটি সম্পর্কে আমি অজ্ঞাত ছিলাম। কিন্তু পড়ার সময় তা বুঝেছি। যত ভালো উপন্যাস বা গল্পই হোক না কেন পুনরায় তা পড়তে না পারাটা আমার বৈশিষ্ট্য বা অপারগতা। যার দরুণ মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করলাম ই-বুকে এটি বর্ধিত করা হয়েছে। এবার আসি গল্পে, গল্পের প্লট সাধারণ হলেও ভাষা শৈলী, চরিত্রের সাবলীল বর্ণনা গল্পটিকে অসাধারণ করে তুলেছে। তবে অন্তীম মূহুর্ত হুট করেই এসে গেছে মনে হয়েছে। আরেকটু গুছিয়ে ইতি ঘটলে বেশি ভালো লাগতো। 🔴 রেটিং : চোখে ঠেকার মতো ত্রুটি ও অন্তীম পাতা আমাকে একটু আশাহত করেছে। তাই আমার রেটিং থাকবে [৮.৫/১০]।