সবাই ক্ষুধার্ত। আমরা সাব ওয়েতে ঢুকে বার্গার খেয়ে শক্তি নিয়ে নিলাম। কিন্তু আমার পায়ের অবস্থা বেশি ভালো না। ইউস্রাও অনেক টায়ার্ড হয়ে গেছে। তাই আমাদের পূর্বনির্ধারিত হাঁটা বাদ দিয়ে মেট্রো করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। মেট্রো থেকে নেমে এলাম। রাতের আলোকোজ্জ্বল প্যারিস শহর দেখতে পাচ্ছি। নানা রঙের আলো চারদিকে। আমরা চলে এলাম প্যারিসের বিখ্যাত ওয়াকওয়ে। এখানে কোনো গাড়ি চলে না। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে বর্ণিল একটা আলোকিত চাকতি, নিদারুণ আকর্ষণ করছে তার কাছে যাওয়ার জন্য। আমরা প্রায় ২ কিমি হেঁটে চলে আসলাম সেই চাকতির কাছে। এটার নাম রু ডি প্যারিস। গোলাকৃতি ২০০ ফুট উচ্চতার হুইল, ২০০০ সালকে বরণ করার জন্য স্পেশালি তৈরি করা, এখন পর্যটকদের একটি আকর্ষণীয় স্থান। বিশালাকার আধুনিক নাগরদোলা বলা যায় এটাকে। এতে একটা কেবিনে ৪ জন বসতে পারে। ভাড়া জনপ্রতি ১২ ইউরো। ইউস্রার উচ্চতা ভীতি আছে। তাই পপি ইউস্রাকে নিয়ে থেকে গেল, আমি আর বড়ভাইজান চড়ে বসলাম। অনেক উঁচুতে উঠে আমরা রাতের পুরো প্যারিস শহরকে দেখতে পাচ্ছি। দূরে আইফেল টাওয়ার দেখা যায়। রাতের প্যারিসকে মনে হচ্ছে আলোকোজ্জ্বল আনন্দ নগরী।