রাজাধিরাজ ফালাক তাজ। ষোলটি সাম্রাজ্যে তার আধিপত্য। যার চারিত্রিক বৈশিষ্টের মাঝে প্রধান বৈশিষ্ট্য সে একজন ধর্মহীন, রমণাভিলাষী, হিংস্র স্বভাবের জালিম সম্রাট। একদিন শত্রুর বেশে প্রথমবারের মতো তার আগমন ঘটে শেরপুর নামক একটি ছোট্ট প্রদেশে। যে প্রদেশের একজন ধর্মপ্রাণ শেহজাদি থাকে তার শত্রুর তালিকাতে শীর্ষে। যুদ্ধের দ্বারাই তাদের প্রথমবার সাক্ষাৎ ঘটে। আর সেই সাক্ষাৎ-ই হয় রাজাধিরাজ ফালাক তাজের সর্বনাশের শুরু। একজন সুঠাম দেহের পুরুষ যার দৈহিক অসীম বল ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিও হার মেনে যায় কেবল সেই শেহজাদির ঘন পাপড়িযুক্ত কালো নয়নজোড়ার কাছে। জীবনে প্রথমবারের মতো সম্রাটকে পরাজয় স্বীকার করতে হয় সেই নয়নজোড়ার সম্মুখে। আর সম্রাটের সেই পরাজয় স্বীকারই হয় শেহজাদির জীবনের করুণ অধ্যায়ের সূচনা। ক্ষমতাবান, রমণাভিলাষী পুরুষ ফালাক তাজের নজরবন্দি হয়ে পড়ে শেহজাদি। শেষত ধর্মপ্রাণ শেহজাদি কি রক্ষা পায় সেই ধর্মহীন হিংস্র মানবের থাবা হতে? আর সেই হিংস্র, ক্ষমতাবান মানবটিও কি খু্ব সহজেই ছেড়ে দেয় তাকে?
প্রভাতকিরণ পড়ে ফালাক তাজের জন্য আমার একটা লাইন মাথায় এলো -- “Words are a pretext. It is the inner bond that draws one person to another, not words.”( Jalaluddin Rumi) ফালাক তাজ, প্রথম যখন ওকে পড়বেন তখন মনে হবে ওর মতো পিচাশ বেঁচে থাকার চেয়ে ডাস্টবিনে পড়ে থাকা অনেক ভালো। পৃথিবীর মানবতার বোঝা সে ! উঠতে বকবেন বসতে বকবেন। অথচ আস্তে আস্তে ঐ খচ্চর মানব টা আপনাকে তার হৃদয়ের নিজস্ব সৌরভ দিয়ে মোহিত করবে। আপনি অন্তরের কস্তুরীতে সুরভিত হয়ে মৌ মৌ করবেন। একসময় পর ওর সহ্য ক্ষমতা দেখে আপনার চোখ আর্দ্র হয়ে যাবে। জি দুজন একই ব্যক্তি। এজন্যই word is a pretext. আমি ফালাকের বাবার আর্তনাদে সিক্ত হয়েছি। ভীষণ করুণ ছিল লোকটার আর্তনাদ। পুত্রমোহ হয়ত এটাই। পুত্রস্নেহ বোধ হয় এটাই। কিন্তু উনিই একমাত্র মানুষ যে ফালাককে নিঃস্বার্থ ভালবাসা দিয়ে গেছেন। হিমানির উপর আমার রাগ ই উঠেছে। এতো বিচক্ষণ হয়ে লাভ কি যদি অন্যায়কে অন্যায় বলতে না পারো। মা বাবাও তো ভুল করে, ভুল জানতে পারে। এজন্যই তো নিজের বুদ্ধি দিয়েছে আল্লাহ্। অন্ধ মোহ অন্ধ বিচার বুদ্ধিতে ভরসা না করে নিজের উপর ভরসা রাখলেও হতো। মা বাবা বললেই বিয়ে করতে হবে আজব ! অতো বাধ্যগত সন্তান হয়ে নিজের সন্তানের কি পেলে রাজকুমারী ? ফালাক ছিল বলে রক্ষা। তবে হিমানীর একটা ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য। ওর জন্য ই আসল ফালাক ফিরে এলো। ফালাক নিজেকে ফিরে পেল। ভালবাসা উষর জমিনে কাংখিত বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজের মত করে একটা জগত সাজিয়ে নেয়। কিন্তু সব বদলালেও ফালাক ঠ্যাটার ঠ্যাটাই থেকে যায়।
Read all reviews on the Boitoi app
খুবই ভালো লেগেছে গল্পটা। অসাধারণ লেখনী। দুতি আপুর লেখা সবসমই খুব সুন্দর। তার বেশ কয়েকটা গল্প আমি ফেসবুকে পড়েছি। রুদ্দুরে ভেজা বুকপকেট ইবুক টাও পড়েছি। প্রসংসা করার যোগ্য দুটি ইবুক ই। আপুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইল। ফালাক আর মেহেরকে আমার দারুন লেগেছে। 💖💖💖💖💖
অবশেষে প্রথম খন্ড পড়ে ফেলাম। সুন্দর ছিলো অনেক। পড়তে পড়তে গল্পের ভিতর একদম হারিয়ে গিয়েছিলাম,,,,
খুব দারুণ। অনেক দীর্ঘ একটা গল্প। পড়াকালীন মনে হয় সেই পুরোনো আমলের মাঝে হারিয়ে গেছি যা সম্পর্কে অবগত নই। বইয়ের শেষে "প্রথম খন্ডের সমাপ্তি" দেখলাম তার মানে কী এর দ্বিতীয় একটি খন্ড আসবে? আসলে তা কবে?
দারুণ দারুণ
এই বই এর কিছু পর্ব ফেসবুকে পড়েছি দুইদিন আগে। কাহিনীটা অনেক ভালোলেগে যায়।পরে বইটি এ গল্পটা খুজে পেলাম। ফেসবুকের রানিং গল্প পড়ার ধৈর্য ছিলো না।তাই আজকে ই-বুক কিনে বিকেলের পুরোটাই শেষ করলাম। ফালাক তাজের কঠোর হিংস্রতার আড়ালে কোমল মনের একজন মানুষ ,প্রেমিক ও আদর্শ স্বামীর বসবাস ছিলো যা পাঠকের মন নিতে বাধ্য।সম্রাট ফালাক চরিত্র আমাকে অত্যাধিক আকর্ষিত করেছে।হিমানী মেহেরুন এর রুপ, গুন ও গুণাবলী অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীলভাবে বর্ননা করা হয়েছে।পরিশেষে,গল্পটি খুবই ভালো লেগেছে। লেখিকার প্রতিভার প্রতিফলন ঘটেছে। সে যে দিপশীখা ই-বুক আকারে তারাতারি দেখতে চাই।
পড়ে ফেললাম বইটই থেকে প্রভাতকিরণ উপন্যাস। আমার কেনা এবং ই-বুকে পড়া প্রথম বই ছিলো এটা।একটু খেয়াল করলে দেখবেন এই উপন্যাসে শুধু প্রেম,ভালোবাসা আর হিংস্রতা নেই, অনেক শিক্ষনীয় দিক আছে। খুবই ভালো লেগেছে। যদিও প্রথমে ফালাককে ভালো না লাগলেও, উপন্যাসের কিছু পৃষ্ঠা পর ফালাককেই সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। মুগ্ধ করেছে তার প্রেম,তার ভালোবাসা। একদম বিপরীতধর্মী এই উপন্যাসটা,বর্তমানে কিছু উপন্যাস পড়লে মনে হয় প্রায় একই রকম কিন্তু এটা পড়লে তেমন মনে হবে না।
খুব সুন্দর।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘 😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘😘