বাক্সটা তেমন আহামরি কিছু নয়। সাধারণ টিনের বাক্স। সারাটা শরীরে অসংখ্য দাগ ফুটে রয়েছে। নতুন অবস্থায় বাক্সটা কোন রঙের ছিলো এখন আর তা বোঝার উপায় নেই। তবে ডালার ওপর যে একটা গোলাপ ফুল আঁকা ছিলো, তা বেশ বোঝা যায়। আরেকটা জিনিসও বোঝা যায়, বাক্সটার ভেতর তেমন কিছু নেই। তবু বাক্সটাকে মা আগলে আগলে রাখেন। ভেতরে কি আছে তা বলেন না। খুলে দেখান না কাউক্তেএমনকি মুক্তিকেও না! মুক্তির বয়স সতেরো বছর। বাক্সটা নিয়ে মায়ের যেমন আদেখলাপনার শেষ নেই্তমুক্তিরও তেমন কৌতূহলের অন্ত নেই। কতো দিন মুক্তি আবদার করেছে বাক্সটার ভেতর কি আছে তা দেখাবার জন্য, কিন্তু মা দেখাননি। এতে মুক্তির কৌতূহল দমাতে পারেননি মা। বরং তা প্রবল থেকে প্রবলতর হয়েছে। মনে মনে মায়ের ওপর অভিমান জমেছে। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। বাক্সটার ব্যাপারে কিছুই জানতে পারেনি মুক্তি।