এটি প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি দ্বারা একটি অস্বাভাবিক মোহগ্রস্তের অবস্থা বর্ণনা করে, যা অনেকটা ঘুমের মতো মনে হয়। আসলে তা ঘুম নয়। কারণ পুরো সময়জুড়ে ভিক্টিম সজাগ থাকে। অধিকাংশ সময় একে দিবাস্বপ্নের মতো মনে হয়। হিপনোসিস চলাকালীন মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় করে সেই ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলো কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে শিথিল করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়। যখন কোনো ব্যক্তি সম্মোহিত হয় তখন তার মাঝে কিছু শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। যেমন তার নাড়ীর স্পন্দন কমে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস কমে যায়। সেই সাথে তার মস্তিষ্কের আলফা স্তরে ঢেউ খেলতে থাকে। এই সময়ে ওই ব্যক্তিকে কোনো একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বা বিশেষ কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হলে তা সে নির্দ্বিধায় অবচেতন মনে পালন করে।